ক্যানসারে স্ত্রীর মৃত্যুর পর আত্মহত্যা করলেন পুলিশ কর্মকর্তা
ভারতের আসামে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেই (আইসিইউ) নিজের সার্ভিস পিস্তল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন স্বরাষ্ট্র সচিব শিলাদিত্য চেটিয়া। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে আসামের নেমকেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
বেসরকারি হাসপাতালটির পরিচালক হিতেশ বড়ুয়ার বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শিলাদিত্য চেটিয়ার স্ত্রী কার্সিনোমার চতুর্থ স্টেজে ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে চার মাস ধরে ছুটিতে ছিলেন শিলাদিত্য। মঙ্গলবার তার স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। বিষয়টি শিলাদিত্যকে জানানো হয়। পরে সন্ধ্যায় তার স্ত্রী মারা যান।
হিতেশ বড়ুয়া জানান, শিলাদিত্য হাসপাতালে পৌঁছে আইসিউতে থাকা ডাক্তার ও নার্সকে বেলেছেন, স্ত্রীর দেহের সঙ্গে কিছুক্ষণ একা থাকতেন চান। তিনি প্রার্থনা করবেন। ডাক্তার ও নার্স বেড়িয়ে গেলে, একটু পর গুলির শব্দ শুনতে পান। দ্রুত ছুটে গিয়ে দেখতে পান শিলাদিত্য নিজের পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করেছেন। তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু গুলির আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
শিলাদিত্য চেটিয়া আসাম সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব ছিলেন। তিনি ২০০৯ ব্যাচের ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের (আইপিএস) অফিসার। আসামের তিনসুকিয়া ও সোনিতপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি আসাম পুলিশের ৪র্থ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
আসাম পুলিশের মহাপরিচালক জিপি সিং বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজের এক্স প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন। বলেছেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর শিলাদিত্য সিং আত্মহত্যা করেছেন। তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ক্যানসারে সঙ্গে লড়াই করেছেন। তাদের মৃত্যুতে আসাম পুলিশ গভীর শোক প্রকাশ করছে।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘শিলাদিত্য চেটিয়া গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। আজ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি হাসপাতালে ছিলেন। তার স্ত্রীর দেখাশোনা করছিলেন।’
খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাসপাতালে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।