অর্থপাচার দমন আইন শক্তিশালী হচ্ছে ফিলিপাইনে
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি ও পাচারের সঙ্গে ফিলিপাইনের কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য দেশটির অর্থপাচার দমন আইনকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে। আগামী মে মাস থেকে আইনটি কার্যকর হবে।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংকো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাসের ডেপুটি গভর্নর নেস্তর ইসপেনিলা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসপেনিলা বলেন, ‘যদি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা দিতে হতে পারে। নির্দিষ্ট ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হতে পারে। এমনকি ওই ব্যবসা বন্ধ করতেও হতে পারে। আর প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শাখার ব্যবস্থাপককে বরখাস্তও করার বিধান রাখা হচ্ছে আইনে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার গত ৫ ফেব্রুয়ারি চুরি হয়। এর মধ্যে ফিলিপাইনে যায় আট কোটি ১০ লাখ ডলার। এই অর্থ দেশটির মাকাতি নগরের জুপিটার স্ট্রিটের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের শাখা থেকে ছাড় হয়। দেশটির সিনেটের তদন্তে এর প্রমাণ মিলেছে। ওই পরিমাণ দেশটির মুদ্রা বিনিময়কারী ব্রোকার ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশনের মাধ্যমে পেসোতে রূপান্তর হয়। এর পর তা দেশটির দুই বা ততধিক জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। এসব অর্থের সিংহভাগ বাংলাদেশকে এখনো ফেরত দিতে পারেনি ফিলিপাইন।
১২ এপ্রিল ফিলিপাইনের সিনেটের শুনানির সময় রিজাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো তান জানান, তথ্য প্রমাণ হলে ব্যাংকটির মাধ্যমে ছাড় হওয়া যে পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হবে না তা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিপাইনের অর্থপাচার দমন আইনকে আরো শক্তশালী করতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক খাতের অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। এ আইনের আওতায় জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্তি, ব্যাংক আমানতের গোপনীয়তার নীতি কিছুটা সহজ করা এবং শাস্তি ও জরিমানা বাড়ানো হবে বলে ইসপেনিলা জানান।