রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ২০ বিদেশিকে শনাক্ত
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ২০ বিদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে। অনুসন্ধানে তাদের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ আলম।
রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শাহ আলম।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা তদন্ত করতে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় যায় সিআইডির দুটি দল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের এই অর্থ চুরি হয়। এর মধ্যে ফিলিপাইনে যায় আট কোটি ১০ লাখ ডলার। বাকি টাকা যায় শ্রীলঙ্কা।
ফিলিপাইনের অর্থ পাচার দমন আইনের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপরাধীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি করেছে বলে জানান শাহ আলম। তিনি বলেন, অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দেশটির অর্থ পাচার দমন সংস্থা, এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সিআইডির বৈঠক হয়েছে।
শাহ আলম বলেন, ‘আমরা ফিলিপাইন ও এর আশপাশের অনেক দেশের অন্তত ২০ জনকে শনাক্ত করেছি, যারা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’
বাংলাদেশের কারা জড়িত—এ প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছি। কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তি, তারা যে যে ভূমিকা পালন করার কথা ছিল, তা তারা করতে পারেনি। যে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল, তা তারা করতে পারেনি। এগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। খুব ভালোভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এখন শুধু সংযোগটা খুঁজে বেড়াচ্ছি যে কীভাবে তারা সম্পৃক্ত হলো। যথাযথ সুরক্ষা নিতে যে ব্যর্থতা, এটা কি তাদের ঔদাসীন্য, খামখেয়ালিপনা নাকি অপরাধের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, এটা নিয়ে আমাদের দল এখন কাজ করছে।’
চুরি যাওয়া রিজার্ভ ফেরত আনা সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির কর্মকর্তা বলেন, তদন্তের শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।