জাতীয় সঙ্গীত ইস্যুতে সরব ছিলেন, ভারত ইস্যুতে নীরব কেন?
ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সমর্থকদের হামলার ঘটনায় গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকারকে। বিক্ষুব্ধ করেছে বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণকেও। ব্যক্তিগতভাবে কড়া প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন আইন ও বিচারবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। পাশাপাশি যারা প্রতিবাদ করেননি, তাদের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই উপদেষ্টা।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আসিফ নজরুল তার ফেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘জাতীয় সঙ্গীত ইস্যুতে যারা সরব ছিলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের ইস্যুতে তাদের অনেকে নীরব কেন?’
এর আগে ২ ডিসেম্বর আসিফ নজরুল ফেসবুকে লিখেছিলেন, আজকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পাতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। (প্রশ্ন করি, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি ‘ নামের কোন সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমনাত্নক প্রচারনায় মেতে উঠত ভারত?)
উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকিমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের। তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানাই। নিন্দা জানাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যের। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যা ঘটে, সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের ওপর, এরজন্য বরং উল্টো ভারতের (এবং মমতার) লজ্জিত হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, ভারতে বলি, আমরা সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার সরকার বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে ভারত-তোষন নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্নমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।