গ্যাস সরবরাহ করে যমুনা সার কারখানা পুনরায় চালুর দাবি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত যমুনা সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ করে পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সার কারখানার ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখার ছাত্ররা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস, মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান বিবেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আকুল মিয়া, সদস আসাদুজ্জামান আসাদ, সদস্য ছাবের হোসেন বিপুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব শিল্প কারখানা সুকৌশলে বন্ধ করে দেয়। যমুনা সার কারখানা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে তারা। এসব অপকর্ম ঠেকাতে ফ্যাসিবাদি সরকার চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি গ্যাস সংকটের অজুহাতে তারাকান্দি যমুনা সার কারখানায় সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। কারখানায় গ্যাস না থাকায় প্রায় ১১ মাস ধরে ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন যমুনায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানার বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, যমুনার এক টন সার উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৮ থেজে ২০ হাজার টাকা। আর দেশের বাইরে থেকে সমপরিমাণ সার আমদানি করতে খরচ লাগে প্রায় এক লাখ টাকা। আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে এসে দেশীয় শিল্পকে সচল রাখা হলে দেশের রাজস্ব বাড়বে। এতে বাইরে থেকে সার আনতে সরকারের ভর্তুকি দিতে হবে না। যমুনা সারকারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, উত্তরবঙ্গসহ ২১ জেলায় সার সরবরাহ করা হয়। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকলে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে সার সংকট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ এ শিল্প কারখানা বাঁচাতে ও কমান্ডিং এরিয়ায় সার সংকটের শঙ্কা থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ করে সার কারখানাটি চালুর দাবি জানান বক্তারা।