চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, একজন নিহত
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় দুই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল খালেক। তিনি উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে। খালেক আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে জানা গেছে।
গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছামছুজ্জোহা, আবদুল করিম, মোখলেছুর রহামান, কেরামত আলী, আবদুল মান্নান ও লুৎফর রহমানকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ ও ঘোড়াঘাটের ও সমানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনকে ঘোড়াঘাটের ওসমানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও শাকিল আলমকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রাতে সাপমারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন সর্দার ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাকিল আলম বুলবুল নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে তর্কে লিপ্ত হন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুজনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এতে আবদুল খালেক নিহত হন। তোফাজ্জল হোসেন ও শাকিল আলম বুলবুলসহ ১০ জন আহত হন। এ ছাড়া এ সময় দুজনের নির্বাচনী অফিস ও প্রচারের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।
এদিকে, রাতে এ সংঘর্ষের পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে খামারপাড়া এলাকার একটি জমিতে কাদামাটিতে মাখামাখি অবস্থায় আবদুল খালেকের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, আবদুল খালেকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে আসার পর তাঁর মৃত্যুর কারণ এবং সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।