রম্য
ভর্তি হোন আরামসে!
এসএসসিতে তো পাসের বন্যা হয়ে গেছে! এখন কলেজে ভর্তি হবেন কী করে? এটা জানেন নিশ্চয়ই, আজকাল যেকোনো পরীক্ষায় পাস করা যতটা সহজ, ভর্তি হওয়াটা তার চেয়ে হাজার গুণ কঠিন! তবে নো টেনশন! উর্বর মস্তিষ্কের এই রম্যলেখকরা থাকতে আপনি ভর্তি হওয়া থেকে বাদ পড়বেন, এটা ইম্পসিবল না হলেও ‘আনপসিবল’! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি কেমনে আরামসে কলেজে ভর্তি হবেন? জেনে নিন তাহলে...
যে কলেজে ভর্তি হবেন, সেই কলেজের অধ্যক্ষের মেয়ের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে প্রেম করুন। তার পর দেখুন ম্যাজিক! আরে মশাই, বাবার কাছে কোনো মেয়ে আবদার করলে সেটা না রাখার মতো সাহস কোনো বাবারই নাই! এই সুযোগটাই কাজে লাগাবেন আপনি!
যে কলেজে ভর্তি হবেন, সেই কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জরুরি ভিত্তিতে নিজেকে ‘অমুক নেতার তমুক চ্যালার হমুক মামাতো ভাইয়ের খালাতো ভাইয়ের ছোট ভাইয়ের বন্ধুর ছোট ভাই’ বলে পরিচয় দেওয়া শুরু করুন! আশা করা যায়, এটা কাজে লাগবে! নেতার ‘কাছের মানুষ’ বলে কথা!!
যে কলেজে ভর্তি হবেন, সেখানে যদি ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকে, তবে তো কেল্লাফতে! কেননা, আজকাল যে হারে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়! তাই লক্ষ রাখুন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় কি না। হলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা কিনে ফেলুন, প্রস্তুতি নিন, পাস করে ভর্তি হয়ে যান।
ভর্তি ফরমে চোখে পড়ে এমনভাবে লিখে দিন যে আপনি এলাকার ‘টপটেরর কানা মদন বা চান্দিছিলার লোক’! ব্যস, আপনার কাজ শেষ! আরামসে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যাবেন বলে এলাকার ‘বড় ভাই’ নিশ্চিত!
‘স্পিড মানি’ (আসল অর্থ তো বুঝতেই পারছেন!) নাকি খারাপ কিছু না! আমাদের কর্তাব্যক্তিই কিন্তু বলেছেন! সুতরাং আপনি কেন এটাকে কাজে লাগাবেন না?! অবশ্যই লাগাবেন! স্পিড মানি দিয়ে যদি ভর্তি হওয়া যায়, তবে স্পিড মানিই ভালো!
শেষের আগে : উপরোক্ত বয়ান কল্পনার জগৎ থেকে থ্রিজি স্পিডে ডাউনলোডকৃত। এর সঙ্গে ইহজনমের কারো কিংবা কোনো কিছুর সামান্যতম মিল যিনি খুঁজে পাবেন, সে জন্য তিনি নিজেই দায়ী থাকবেন!