রম্য
ঈদ শপিং থেকে বাঁচার ৩ উপায়!
একজন স্বামী মানেই জানেন বউয়ের শপিং কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী! আর ঈদ এলে তো কথাই নেই! স্বামীরা সব সময়ই তটস্থ থাকেন, কখন না জানি বউ শপিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বসে! তবে নিচের পদ্ধতি প্রয়োগ করে স্বামীরা বউকে নিয়ে শপিংয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেলেও পেতে পারেন!
হার্ট অ্যাটাকের ভান পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে আপনাকে কৌশলী হতে হবে। বুদ্ধি খাটাতে হবে! যখন আপনার স্ত্রী আপনাকে শপিংয়ে নিয়ে যেতে চাইবে, ঠিক তখনই বুকে হাত দিয়ে এমন ভান করুন যেন, আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে! তবে সাবধান, বুকের ডান পাশে নয়, বামপাশে কিন্তু হাত দেবেন! কারণটা হার্টটা ওই দিকে কি না! এই পদ্ধতিতে হাসপাতালে খামাখা দৌড়াদৌড়ি করে হয়তো আপনার কিছু টাকা খসবে, কিন্তু আপনার বউয়ের শপিংয়ের খরচ থেকে এই টাকার পরিমাণ কিন্তু অনেক কম হবে জনাব, সুতরাং..!
অপহরণ পদ্ধতি
এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে আপনাকে বুদ্ধি খরচ করতে হবে। আপনার কোনো চালাক বন্ধুর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলুন। বিশেষ করে বিবাহিত চালাক বন্ধু হলে আপনার কষ্টটা বুঝবে। তাকে বলুন তার পরিচয় গোপন করে, আপনার বাসায় ফোন করতে এবং আপনাকে অপহরণের হুমকি দিতে। এ ক্ষেত্রে বন্ধুর সঙ্গে নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে ওই সময়ে আপনি ফোন না ধরে আপনার বউকে দিয়ে ফোন ধরান। তারপর আর কি! বাসার বাইরে বেরোলেই আপনার পরিবারের যে কাউকেই অপহরণ করা হবে, এমন হুমকিতে আপনার বউ পেরেশানির মধ্যে পড়ে যাবে! কেঁদেকেটে সব একাকার করে দেবে! জানের ভয়ে শপিংয়ে যাওয়ার কথাই ভুলে যাবে! লে মওকা মওকা!
ছিনতাই পদ্ধতি
আসলে বুদ্ধি ছাড়া আপনার বাঁচার উপায় নাই! এই পদ্ধতিতেও আপনাকে বুদ্ধি খাটাতে হবে। শোনেন, যেদিন শপিংয়ে যাবেন, সেদিন আপনি প্রথমে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ভান করে আগেই বেরিয়ে পড়ুন। তারপর ব্যাংকে গিয়ে সব টাকা তুলে বউকে ফোন দিয়ে বলুন, ‘ময়না, সব টাকা তুলে ফেলি? অনেক শপিং করব তো! কী বলো!’ ঘাবড়ে যাচ্ছেন কেন ভাই সাহেব! শোনেন, এ কথা শুনে আপনার বউ খুশিতে আটখানা হয়ে গদগদ কণ্ঠে বলবে, ‘আচ্ছা ঠিক আছে গো! তুমি যখন বলছো, তখন নিয়েই আসো!’ আপনি এরপর কী করবেন? হুম! সব টাকা ব্যাংক থেকে তুলে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছে জমা রাখুন। কিছু সময় পর বাসায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে ফিরুন। চোখে রাখুন জল। প্রয়োজনে ব্যবহার করুন গ্লিসারিন। আর একটু কষ্ট করতে পারলে কপালে-গালে হালকা কাটাকুটি করুন! এখন হচ্ছে চূড়ান্ত মুহূর্ত! বউকে এমনভাবে গুছিয়ে, কান্নাজড়িত কণ্ঠে বর্ণনা দিন, কীভাবে আসার পথে ছিনতাইকারীরা আপনার সব টাকা কেড়ে নিয়েছে! আপনার বর্ণনা ভঙ্গির ওপর কিন্তু এ পদ্ধতির সাফল্য নির্ভর করছে! আপনার কথা আপনার বউ বিশ্বাস করে বসলে তো কেল্লাফতে! তারপর হুজুগে বলে বসুন, ‘বউ, সব টাকা তো গেল! এখন শপিংয়ের কী হবে! আচ্ছা, তোমার বাড়ি থেকে লাখখানেক আনা যায় কি...?’ বউয়ের কিন্তু শপিংয়ে দারুণ শখ! তাই বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতেও পারে! আপনার ডাবল লাভ!