হবিগঞ্জে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় একজন নিহত
ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর গ্রামে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন যুবলীগ নেতা আবদুস সালাম (৩৫)। তিনি ৪ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। তাঁর লাশ হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মোতাব্বির হোসেন ও আবদুল মন্নাফ। তাঁদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্য কয়েকজনকে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪ জুন সদর উপজেলার নিজামপুর ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল আউয়াল তালুকদারকে পরাজিত করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তাজউদ্দিন আহমেদ।
নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বৃহস্পতিবার তারাবির নামাজের পর নিজামপুর বাজারে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে কথাকাটাকাটির জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুস সালামকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পেরেছেন, সালিশ বৈঠকে একপক্ষ হামলা চালালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
ওসি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল রাতে দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।