ফেসবুকে ৫০ লাখ পেরোল এনটিভি
শুরুটা বেশিদিনের নয়। দেড় বছরেরও কম সময়। দিন, মাস, মিনিট, ঘণ্টার হিসাব মিলিয়ে কম বলার কারণ, অর্জনের পরিধি। একটি ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইকের সংখ্যা যদি ৫০ লাখ পেরিয়ে যায়, তাহলে তো এই সময়ের পরিধিকে সামান্যই বলতে হয়! এনটিভি অনলাইনের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গেই এনটিভির অফিশিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ আত্মপ্রকাশ করে। তারপর? দেড় বছরেরও কম সময়ে এনটিভির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের লাইক পেরিয়ে গেছে ৫০ লাখের কোঠা। পাঠকদের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পেরেই অর্জন হয়েছে এই সাফল্য।
বিপুল পাঠকের পছন্দের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ। আর এই অর্জনটি যখন বাড়তি বিজ্ঞাপন বা প্রচার কৌশল ব্যবহার না করেই অর্জিত হয়, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই, তখন সেটি বিস্ময়কর বৈকি! ক্রমাগত পেজ বুস্ট নয়, বরং পাঠকের ক্রমাগত আগ্রহেই অর্জন হয়েছে এই অর্ধকোটির মাইলফলক। এমনটা অবশ্য হওয়ারই কথা, কারণ পরিসংখ্যানটা দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। প্রতি মাসে কমবেশি ৫০ লাখ মানুষ এনটিভি অনলাইনে ঢোকেন। সেখান থেকে আড়াই কোটির মতো ‘হিট’ পড়ে বিভিন্ন কনটেন্টে। অনলাইন দুনিয়ায় যখন কনটেন্টই আসল কথা, তখন ফেসবুকেও তো তার ফলাফল মিলবে!
তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে মানুষজন হয়তো এখন এতটাই একাত্ম, তার হিসাব তাদের নিজেদেরও নেওয়া সম্ভব না। প্রতিটি মুহূর্তের চলাফেরা বা কার্যক্রমে আমরা যেন নিজেদের অজান্তেই জড়িয়ে গেছি তথ্যপ্রযুক্তির প্রবাহের সঙ্গে। সকাল সকাল নাশতার টেবিলে পত্রিকায় নজর বোলানো এখন অনেকটাই অতীত। কারণ, স্থান-কাল-প্রেক্ষাপটের পরিসর ছাড়িয়ে সংবাদ এখন স্থান করে নিয়েছে স্মার্টফোনের পর্দায়। সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম নিঃসন্দেহেই ফেসবুক, কারণ ফেসবুকে শেয়ার করা লিংক দেখেই খবর পেতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে বেশির ভাগ ব্যবহারকারী।
পাঠকদের পছন্দ, আগ্রহ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়েছে এনটিভি অনলাইন। ফেসবুকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট সংবাদের হদিস দেওয়াই কেবল নয়, কখন কোন ধরনের খবর বা কনটেন্টে নজর বোলাতে চান পাঠক, তার জন্য বিস্তারিত পর্যবেক্ষণও চলে প্রতিদিন। সকাল সকাল যেমন সারাদিনের তাজা খবরগুলো এক ঝলকে দেখা দরকার, তেমনি অলস দুপুরে হয়তো জানতে ইচ্ছে করে কোনো খাবারের রেসিপি কিংবা আসন্ন কোনো সিনেমা নিয়ে হালনাগাদ খবর। বিভিন্ন সময়ে পাঠক কোন খবর পড়ছেন, কোন ধরনের খবরগুলোর দিকে পাঠকের আগ্রহ কিংবা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে—তার দিকেও নজর রাখা হয় সবসময়।
প্রসঙ্গক্রমে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকেলের কথা। বাংলাদেশে প্রথম এনটিভি অনলাইনই নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে ফেসবুকের এই অভিনব ফিচারটির সঙ্গে। যেকোনো সময়ের চেয়ে পাঠককে অবিশ্বাস্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে খবরটি মোবাইল স্ক্রিনে এনে দেয় এই ফিচার। যেদিন এই ফিচার উদ্বোধন হয়েছে, বহির্জগতের নামিদামি সব ওয়েব পোর্টালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এনটিভি অনলাইনও একাত্ম হয়েছে এর সঙ্গে। আবার ফেসবুক লাইভ টিভির কথা তো না বললেই নয়। যখনই চলতি খবর দেখা আর জানা চাই সঙ্গে সঙ্গে, এনটিভির ফেসবুক পেজ সরাসরি তা ‘লাইভ’ করে দেয় প্রায়ই।
একটি পরিপূর্ণ ইনফোটেইনমেন্ট পোর্টাল হিসেবে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে এনটিভি অনলাইন। এই সাফল্যের পেছনে অবশ্যই মূল অবদান বিশাল পাঠকের, যার ৮০ শতাংশই মোবাইল ফোন থেকে অনবরত ঢুঁ মারেন এনটিভি অনলাইনের খবরাখবর বা কোনো কনটেন্টের জন্য। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের থেকে নজর রাখেন ১৮ শতাংশ পাঠক, ট্যাব দিয়ে বিচরণ করে বাকি ২ শতাংশ। উন্নতমানের ভিডিও কনটেন্ট থেকে হাই রেজুলেশনের ছবির দারুণ প্রাপ্তিস্থল হওয়ায়, উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একটি বিশাল অংশ এনটিভি অনলাইনের নিয়মিত পাঠক এবং বিচরণকারী।
বাংলা এবং ইংরেজি, দুই ভার্সনেই সদা সচল এনটিভি অনলাইন। ৫০ লাখ লাইকের সঙ্গে আরেকটি খবর তাই দেওয়াই যায়, বিশ্বের ২০০টি দেশ ও অঞ্চল থেকে নিয়মিত দেখা হয় এনটিভি অনলাইন। ইংরেজি ভার্সনেও দেড়শো দেশ থেকে নজর রাখেন উৎসুক পাঠক। কেবল খবরে নয়—নাটক, অনুষ্ঠান, সিনেমা, গান, ছবি; পাঠক কিংবা দর্শকের সব আগ্রহে জোগানোর মতো খোরাকই যে রয়েছে এই পোর্টালে!
এনটিভির মূল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়ানুগ পেজগুলোতেও নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় খবর। খেলাধুলা, বিনোদন, জীবনধারা, মতামত, শিল্পসাহিত্য ও বাণিজ্যের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য রয়েছে আলাদা বিষয়ভিত্তিক ফ্যানপেজ। সেগুলোতেও রয়েছে সব মিলিয়ে লাখ দেড়েক লাইক। নির্দিষ্ট বিষয়ে নির্দিষ্ট খবরের সন্ধান এই পেজগুলোর মাধ্যমেও নিয়মিত পাবেন পাঠক।
এনটিভির মূল ফেসবুক পেজটি ‘লাইক’ করেছেন তো?