ঈদে বাড়ি ফেরার বিকল্প কিছু পদ্ধতি
ঈদে বাড়ি যাওয়া মানেই বাস, ট্রেন, নৌপথে প্রচুর লোকজনের ভিড়, ধাক্কাধাক্কি আর অসহনীয় যানজট ফেইস করা। এসব ঝামেলার সম্মুখীন যাঁরা হতে চান না, তাঁদের জন্য বাড়ি যাওয়ার কিছু বিকল্প পথ নিচে দেওয়া হলো।
• যখন যানবাহন ছিল না, তখন মানুষ পায়ে হেঁটেই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেত। তো কি আর করার, যানবাহনে যাওয়ার ভাগ্য না হলে সেই আদিম যুগের মতো পায়ে হেঁটেই বাড়ি চলে যেতে পারেন।
• প্রায় প্রতিটা শহরের আনাচে-কানাচেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কিংবা জিলাপির মতো পেঁচিয়ে থাকে ডিশ, ইন্টারনেট আর টেলিফোনের তার। সেই তারগুলোতে চড়ে টারজানের মতো বাড়ি ফেরা যায় কি না ভেবে দেখতে পারেন।
• অনেক লোক আছেন যাঁরা কথায় কথা বলেন, ‘এক লাথি দিয়ে অমুক জায়গায় পাঠিয়ে দিব, এমন। তো আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। ভাগ্য আর হজমশক্তি ভালো থাকলে স্রেফ একটা লাথি খেয়েই বাড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন।
• বাস, ট্রেন, লঞ্চের ছাদে করে বাড়ি ফেরার অভ্যাসটা আমাদের অত্যন্ত পুরোনো। দিনবদলের হাওয়ার সঙ্গে বদল হয়ে বাস, ট্রেন, লঞ্চের বদলি হেলিকপ্টার বা বিমানের ছাদে করে বাড়ি ফেরা যায় কি না ভেবে দেখতে পারেন।
• অনেকেই শখের বসে স্কেটিং করে থাকেন। তো এবার সেই শখটাকে পুঁজি করেই যানবাহনের চাপ না বাড়িয়ে স্কেটিং করতে করতেই বাড়ি চলে যেতে পারেন।
• ছোটবেলায় নারকেল বা সুপারি গাছের ডালকে গাড়ি বানিয়ে চড়েননি এমন পাবলিক খুব কমই আছেন। তো এবার সেই নারকেল বা সুপারি গাছের ডালকেই ঢাল হিসেবে নিয়ে এতে চড়ে আপনার গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করে দেখতে পারেন যাওয়া যায় কি না।
• পাখিদের পালক আছে তাই আকাশে উড়তে পারে। আপনিও চাইলে কৃত্রিম পালক লাগিয়ে উড়ে উড়ে বাড়ি যাওয়া যায় কি না ভেবে দেখতে পারেন।
• মাছেরা এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে সাঁতরানোটাকে কাজে লাগায়। আপনি যদি সাঁতার জানেন তবে এটাকে কাজে লাগিয়েই বাড়ি চলে যেতে পারেন।
• গ্যাস বেলুন আকাশে ওড়ে, তা কে না জানে? তো এই গ্যাস বেলুনের সাহায্যে কোনোভাবে উড়ে বাড়িতে যাওয়া যায় কি না চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
• স্টেশনের কুলিরা টুকরি মাথায় করে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মালামাল পৌঁছে দেয়। মালামালের বদলি টুকরিতে করে আপনাকেই বহন করে বাড়ি পৌঁছে দেবে কি না এমন কোনো কুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।