নড়াইলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকিত মন্তব্যের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নড়াইলের আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকালে নড়াইল সদর আমলী আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন। এ ছাড়া আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ জুলাই দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন একই আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তাঁর এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়।
মামলার বাদী নড়াইলের নড়াগাতি থানাধীন চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম জেলা (নড়াইল) আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়েন। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২৪ ডিসেম্বর (২০১৫) খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলা করেন।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের একটি আদালতে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আরো একটি মানহানির মামলা করা হয়। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে ওইদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামেও একটি মানহানি মামলা করা হয়। মামলা দুটি দায়ের করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিক বিল্লাহ।