ভুয়া খবর সরিয়ে ফেলবে ফেসবুক ও টুইটার
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো থেকেই এখন অনেকে খবর জানতে পারেন। কারণ এসব প্ল্যাটফর্মে জরুরি সব খবরই শেয়ার করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে অনেক ভুয়া খবরও থাকে। বেশ কিছু ভুয়া ওয়েবসাইট নিজেদের কাটতি বাড়াতে এ ধরনের খবর দিয়ে থাকে। এতে বিভ্রান্ত হন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠকরা।
আর তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে জনপ্রিয় দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটার। ভুয়া খবর সরিয়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে এই দুই প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে ৩০টি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে চুক্তিও করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। এসব সংবাদমাধ্যমের মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএনের মতো বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম।
ফেসবুক ও টুইটারে ভুয়া খবর শনাক্ত করার জন্য গুগলের সহযোগিতা ‘ফার্স্ট ড্রাফট’ নামের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। এখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে পারবেন পেশাদার সাংবাদিকরা। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভুয়া খবর ও আসল খবর চিহ্নিত করা হবে। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ডিজিটাল ট্রেন্ডস।
তবে এই প্রক্রিয়া এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফেসবুক ও টুইটার। ফার্স্ট ড্রাফট নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্রেইগ সিলভারম্যান বলেন, ‘আমরা কয়েকটি ধাপে খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখার চেষ্টা করব। ধরা যাক, ফেসবুক ও টুইটারে কোথায় বোমা হামলার খবর শেয়ার করা হলো। আমরা আমাদের নেটওয়ার্ক থেকে সেই এলাকার স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর সংগ্রহ করে এর সত্যতা যাচাই করব। বা ওই এলাকায় রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে খবরটি সংগ্রহ করার চেষ্টা করব। যখন সেই এলাকায় বসবাসরত মানুষ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করবেন, তখন আমরা ধরে নেব যে খবরটি সঠিক। আর এভাবেই বিভিন্ন গ্রুপ খবরের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ করবে।’
ফার্স্ট ড্রাফট নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেনি সারগেন্ট এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘ভুয়া তথ্য যাচাই করা কঠিন হতে পারে। এমনকি সংবাদমাধ্যমগুলো অনেক সময় নিজেদের সূত্র থেকে খবর নিশ্চিত করলেও তাতে ভুল থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা হয়তো একদিনেই সমস্যার সমাধান করতে পারব না তবে নিশ্চয়ই একটি সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’