রাত ১২টার পর হবিগঞ্জে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ
যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া রাত ১২টার পর হবিগঞ্জ শহরসহ জেলার সব স্থানে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। এর আগে হবিগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে সর্বসাধারণের প্রতি এ নির্দেশ জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে হবিগঞ্জের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার বলেন, চুরি-ডাকাতি রোধকল্পে জেলা শহরসহ জেলার যেকোনো এলাকায় অহেতুক বা যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কেউ রাত ১২টার পর ঘোরাফেরা করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে রাত ১২টার পর চলাচল করতে হলে যুক্তিসংগত প্রমাণ উপস্থাপন করতে হচ্ছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক বলেন, চুরি-ডাকাতি রোধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ঘোষণা দেওয়ার পর প্রথম রাতে নয়জনকে আটক করা হয়। পরে অভিভাবকরা মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেন।
তিনি আরো বলেন, এ ব্যবস্থা স্থানীয় জনগণের স্বাভাবিক চলাফেরায় কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না। তবে বহিরাগত কিংবা চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
স্মরণকালের ইতিহাসে গত এক মাসে হবিগঞ্জ শহরে কয়েকটি দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ইনাতাবাদ এলাকায় কয়েক দিনের ব্যবধানে তিন প্রবাসীর বাসায় ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা এক প্রবাসীর বাসায় তাঁর ব্যবসায়ী ভাই রুহেল চৌধুরীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এসব ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সদর থানা পুলিশ ডাকাতদের বিরুদ্ধে জোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। পুলিশ কয়েকজন কুখ্যাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করলে তাঁরা ডাকাতির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। সদর উপজেলার চরহামুয়া গ্রামে কুখ্যাত ডাকাত শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডাকাতদের গ্রেপ্তারের পরও শহরের নাতিরাবাদ এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী খোরশেদ মিয়ার বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার জেলা বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার রাত ১২টার পর সর্বসাধারণের অপ্রয়োজনীয় চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।