চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর হতে চান মেরকেল
চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর হতে চান অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এরই মধ্যেই এই ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন তিনি।
জার্মানির বার্লিনে নিজ দল মধ্য ডানপন্থী ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) এক বৈঠকে মেরকেল প্রার্থিতার ঘোষণা দেন।
প্রার্থিতা ঘোষণাকালে মেরকেল বলেন, তিনি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি জার্মানদের মূল্যবোধ ও জীবনযাপনে স্বকীয়তার জন্য লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জার্মানিতে আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠার পর মেরকেলের সমর্থন কমেছে। তবে তিনি আবার ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
আসন্ন নির্বাচনে ২০০৫ সাল থেকে চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেরকেলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হবে ডানপন্থী এএফডি পার্টি।
সিডিইউয়ের প্রধান কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন মেরকেল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে একই সঙ্গে ডানপন্থী ও বামপন্থীদের চ্যালেঞ্জে পড়বেন তিনি।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মেরকেলের দল সিডিইউ জার্মানির কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে হারে। সেই হারের দায় নেন মেরকেল। অভিবাসীদের জন্য দুয়ার উন্মুক্ত করায় এমন পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
জার্মানির কেন্দ্রীয় অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক দপ্তর প্রধানের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বরে তিন লাখের মতো শরণার্থী দেশটিতে প্রবেশ করবে।
গত বছর জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন পড়ে ১০ লাখেরও বেশি।
যাজকের মেয়ে মেরকেল বেড়ে ওঠেন কমিউনিস্টশাসিত পূর্ব জার্মানিতে। ২০০৫ সাল থেকে ঐক্যবদ্ধ জার্মানির নেতৃত্বে আছেন তিনি।
আগামী বছরের নির্বাচনে জিতলে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে চারবার (১৯৮২ থেকে ১৯৯৮) চ্যান্সেলর হওয়া হেলমুট কোহলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন মেরকেল।
ইউরোপের অর্থনৈতিক ‘পাওয়ার হাউস’ খ্যাত জার্মানিতে চ্যান্সেলর পদে প্রার্থিতার জন্য কোনো সময়সীমা নেই। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি দুই বা ততোধিক বার চ্যান্সেলর হওয়ার লড়াইয়ে নামতে পারেন।