প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কে, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও প্রশ্ন জাগে—কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, আর কে নয়?’
আজ শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ না করেও যাঁরা নাম লাগিয়ে সরকার থেকে সুবিধা নেন, তা দেখে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট পান। এখনই মুক্তিযোদ্ধাদের একটা সঠিক রিপোর্ট করা দরকার।
এস কে সিনহা আরো বলেন, ‘মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে বিভিন্ন সময় এমন মানুষও সরকারের নানা সুবিধা ভোগ করেছেন। সে সময় যাদের জন্ম হয়নি অথবা যাদের বয়স দুই-আড়াই বছর ছিল। এ-সংক্রান্ত অনেক রায় আমরা বাতিল করেছি।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) শ্রীমঙ্গল সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আশরাফুল ইসলাম, মুখ্য বিচারিক হাকিম এ কে এম নাসির উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মুমিন তরফদার।