প্রশাসন চায়নি বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করুক
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বলেছেন, বিচার বিভাগের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে প্রতিটি সরকার। প্রশাসন কখনোই চায়নি যে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করুক।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এই মন্তব্য করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মোছাব্বির। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) চৌধুরী আবদুল হাই, সৈয়দ আফরোজ বখত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এস কে সিনহা বলেন, ‘বিচার বিভাগের প্রতি সব সময় একটা বিমাতাসুলভ আচরণ চলে আসছে। এটা আজকে না, এই সরকার না, এটা প্রতিটি সরকারই। প্রশাসন কোনো দিনই চায়নি বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করুক। এটা কিন্তু প্রশাসনের যারা উঁচু পর্যায়ে আছেন, তাঁদেরকে কিন্তু এই জিনিসগুলা যে কোনোটা, ওনারা তো খুব রেস্ট্রিকটেড লাইফ (নিয়ন্ত্রিত জীবন) লিড করে। তাদেরকে পরিচালনা করে চারদিকে কিছু আমলা। আরো কিছু লোক পরামর্শ দেয়।’
‘এটা, সঠিক জিনিসটা তাদের কাছে উপস্থাপন করা হয় না। সব সময় করা হয় না এবং দে আর বিইং সারাউন্ডেড বাই অফিসার্স, ব্যুরোক্র্যাট অফিসার্স (তারা সব সময় কিছু কর্মকর্তা, আমলা কর্মকর্তা দ্বারা বেষ্টিত থাকেন), যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যুরোক্র্যাটরা (আমলা) মনে করে, সব সময় বিচার বিভাগ তাদের একটা প্রতিদ্বন্দ্বী। এটা কিন্তু ভুল ধারণা।’
বিচার বিভাগ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী নয় মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগ কিন্তু সব সময় কারো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাজ করে নাই। বিচার বিভাগ সব সময় একটা ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে।’
‘এই যে ব্যুরোক্র্যাটদের মধ্যে তাদের প্রমোশন (পদোন্নতি), ট্রান্সফার (বদলি) মধ্যে অনেকগুলা ত্রুটি থাকে। অনেক বিচার, অনেকগুলা ইয়া হয়। ওই বিচার বিভাগের কাছেই আসতে হয়। আমরা কিন্তু তাদেরও বিচার করে থাকি।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের হাওরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকের ফসলের ক্ষতি হলেও এখন আর বাংলাদেশকে সাহায্যের জন্য বিদেশে হাত পাততে হয় না। এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম বাংলাদেশ।