বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল মরিচ
ঝাল খেতে অনেকেই ভালোবাসে। একে এক ধরনের ক্ষমতাও ভাবে কেউ কেউ। তবে আপনি যতই ঝাল খেতে পারদর্শী হন না কেন যুক্তরাজ্যের নর্থ ওয়েলেসের সেন্ট অ্যাসাফে অবস্থিত মাইক স্মিথের উৎপাদিত ড্রাগন’স ব্রেথ বা ড্রাগনের নিঃশ্বাস নামের মরিচটি খাওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। কারণ ব্রিটিশ গণমাধ্যম মিরর জানাচ্ছে, স্কোভাইল স্কেলে (ঝাল পরিমাপক যন্ত্র) মরিচটির ঝালের মাত্রা ২.৪৮ মিলিয়ন পানির ফোটার সমপরিমাণ । ফলে বিশ্বের সর্বাধিক ঝাল লঙ্কা হিসেবে ড্রাগন’স ব্রেথকে একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন সবাই।
মাইক স্মিথ সাত বছর ধরে নিজের বাগানে সবজি এবং মরিচের চাষ করছেন। নিজের হাতে উৎপাদিত মরিচটি নিজেই খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ৫৩ বছর বয়সী স্মিথ বলেন, ‘আমি এখনো মরিচটা খেয়ে দেখিনি। আমি শুধু আমার জিহ্বায় মরিচটা স্পর্শ করেছি মাত্র। তাতেই আমার মুখ ঝলসে গিয়েছে। আমি ১০ মিনিটের মতো স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম। ঝালের মাত্রা শুধু বেড়েইগেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন অপ্রীতিকর মুহূর্তে মরিচের যে স্প্রে ব্যবহার করে তার মাত্রা প্রায় ২ মিলিয়ন পানির ফোটা পরিমাণ। যদি এসব ক্ষেত্রে ড্রাগন’স ব্রেথ ব্যবহার করা হয় তাহলে যার উপরে ব্যবহার করা হচ্ছে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই শুধু চিকিৎসাক্ষেত্রে এর ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ প্রসঙ্গে স্মিথ জানান, নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় উৎপাদিত এই মরিচ মোটেও খাওয়ার জন্য নয়। এটি ব্যবহার করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে চিকিৎসাশাস্ত্রে। এই মরিচ অনুভূতিনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বককে অনুভূতিশূন্য করে দিতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সস্তায় প্রয়োগ করা যেতে পারে ড্রাগনের নিঃশ্বাস।
ড্রাগন’স ব্রেথ, এত ঝাল যে মরিচে, সে মরিচ সাধারণ মানুষের হাতে পড়তে দিতে নারাজ গবেষকরা। তাই বিশেষভাবে আটকানো পাত্রে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে মরিচটিকে। তবে কাছ থেকে দর্শকরা দেখার সুযোগ পাবেন মরিচটিকে। ২৩ মে থেকে ২৭ মে যুক্তরাজ্যের চেলসিতে অনুষ্ঠিত ‘চেলসি ফ্লাওয়ার শো’তে ড্রাগন’স ব্রেথকে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে, কারণ ড্রাগন’স ব্রেথ দেখে চোখে ঝাল ধরার কোনো সম্ভাবনা নেই।