মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দূতাবাসের প্রধান ফটকে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দেন হাইকমিশনার মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ও রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আনোয়ারুল ইসলাম।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দূতাবাসে রাখা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দেওয়া হয়। তারপর হাইকমিশনার শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শোক দিবসের আলোচনা সভা।
দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমোডর হুমায়ূন কবির। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তা ওয়াহিদা আহমেদ।
আলোচনা সভায় হাইকমিশনার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেদিন বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল। এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশের আত্মবিকাশকে রুদ্ধ করে দেওয়াই ছিল এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য।
হাইকমিশনার আরো বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির অস্তিত্ব ও মননে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। তবে সে ক্ষতের কিছুটা উপশম হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে খুনিদের বিচারের মাধমে। এর মধ্য দিয়ে জাতি তার কলঙ্কের দায় লাঘব করতে সক্ষম হয়েছে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, সহসভাপতি আবদুল করিম, দাতু আক্তার হোসেন, কাইয়ূম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, শাখাওয়াত হক জোসেফ, যুবলীগের আহ্বায়ক মো. তাজকীর আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বি এম বাবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম খান, শ্রমিক লীগের সহসভাপতি শাহ আলম হাওলাদার, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি সোনাহর আলী খান রশিদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সব শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।