কাতারে গৃহকর্মীদের জন্য নতুন আইন
প্রবাসী গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করতে নতুন আইন করেছে কাতার। দেশটির শাসক শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এই আইন জারি করেছেন বলে জানিয়েছে কাতার নিউজ এজেন্সি।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই নতুন শ্রম আইনে বলা হয়েছে, গৃহকর্মীরা প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা কাজ করবে। এই সময়ের মধ্যে নামাজ, খাওয়া ও বিশ্রামেরও সুযোগ দিতে হবে। চুক্তির মেয়াদ শেষে তিন সপ্তাহের বেতনও দিয়ে দিতে হবে।
গৃহকর্মীদের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ থেকে ৬০ বছর। প্রত্যেক বছরে তিন সপ্তাহের ছুটি দিতে হবে। এ ছাড়া ভালো খাবার ও চিকিৎসারও ব্যবস্থা করতে হবে।
কাতারে ১০ হাজারেরও বেশি গৃহকর্মী কাজ করেন। যাঁদের বেশির ভাগই নারী। আর এই গৃহকর্মীরা ফিলিপাইন, দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো থেকে কাজ করতে আসেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বরাবরই উপসাগরীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে। শ্রমিকদের কম বেতন দেওয়া, অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ, দীর্ঘ সময় ধরে কাজ, শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ আছে দেশটির বিরুদ্ধে।
আইনে বলা আছে, নতুন গৃহকর্মীদের ‘কাফেলা বা স্পন্সরশিপ’ পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। কাতার গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতনের দুর্নাম ঘোচাতে চায়। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আগেই নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দেখাতে চায় দেশটি। কাতার স্টেডিয়াম নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে লাখো নির্মাণশ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে।
আইনটির বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আগামী নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।