‘রোহিঙ্গা বাঁচাও’ দাবি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে শরীরে আগুন দেওয়ার চেষ্টা
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও নিধনের প্রতিবাদের মালয়েশিয়ার রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন দেশটিতে বসবাসকারী শত শত রোহিঙ্গা। সে সময় একজন প্রতিবাদকারী কাঁদতে কাঁদতে নিজের শরীরে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে থামায়।
স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রতিবাদ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। ‘রোহিঙ্গাদের বাঁচাও’ এবং ‘রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধ করো’ লেখা ব্যানার নিয়ে সবাইকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। সে সময় অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গাকে পুলিশ আটক করে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এশিয়া প্যাসিফিক।
সমাবেশ চলাকালে অনেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। তাঁরা অভিযোগ করেন, মিয়ানমারে তাদের আত্মীয়স্বজনদের নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে।
কুয়ালালামপুরে মিয়ানমারের দূতাবাসের বাইরে অনুষ্ঠিত হয় আরেকটি প্রতিবাদ সমাবেশ। সেখানে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আং সান সুচিকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়।
মালয়েশিয়ায় অন্তত ৬০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী তারা দেশটিতে বিভিন্ন কম দক্ষতাসম্পন্ন কাজ করে থাকে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন শুরুর পর থেকেই তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মিয়ানমারে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা নিধনের মাত্রা দিনকে দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা। ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন অরগানাইজেশনের (আইএমও) জরিপ মতে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে কমপক্ষে ১১০ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। অন্তত ১৮ হাজার ৫০০ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির বাধার মুখে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নোম্যানসল্যান্ডে অবস্থান নিয়েছে অনেকেই।