যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের হুঁশিয়ারি ফিলিস্তিনের
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) কার্যালয় বন্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিনিদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিন।
ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের শান্তি আলোচনার জ্যেষ্ঠ মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরেকাত শনিবার দেশটির এই অবস্থানের কথা জানান।
সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে ১৯৬৪ সালের ২৮ মে প্রতিষ্ঠা করা হয় মুনাজ্জামাত আত-তাহরির আল-ফিলিস্তিনিয়্যাহ তথা পিএলও। এই সংগঠনটিকেই ফিলিস্তিনি জনগণের কূটনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে মনে করে শতাধিক রাষ্ট্র।
সায়েব এরেকাতের বরাত দিয়ে আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ওয়াশিংটন ডিসিতে পিএলওর কূটনৈতিক দপ্তরের কার্যক্রম চালানোর নির্ধারিত সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে জানানো হয়েছে।
এরেকাত আলজাজিরাকে জানান, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিন। সেই প্রেক্ষাপটেই পিএলওর দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন পিএলওর জ্যেষ্ঠ এই নেতা জানান, সংগঠনটির কার্যক্রম বন্ধ হলে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে মর্মে একটি চিঠি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ ইসরায়েলের সঙ্গে পুরো শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে উল্লেখ করে সায়েব এরেকাত বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা যে মুহূর্তে চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হতে চাইছি, ঠিক তখনই (বেনিয়ামিন) নেতানিয়াহুর সরকারের পক্ষ থেকে (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রশাসনকে এ ধরনের চাপ দেওয়া হচ্ছে।’
প্রতি ছয় মাসে একবার পিএলওর দপ্তরের কার্যক্রম চালানোর সময়সীমা নবায়ন করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ মাসেই শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা।