জেরুজালেম প্রশ্নে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ
বিতর্কিত জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
আগামীকাল শুক্রবার জেরুজালেম প্রশ্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছে পরিষদ। বুধবার পরিষদের নেতারা বৈঠকের পর এ ঘোষণা দিয়ে জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
এখন নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছে জাপান। দেশটি জানায়, বলিভিয়া, ব্রিটেন, মিসর, ফ্রান্স, ইতালি, সেনেগাল, সুইডেন ও উরুগুয়ে—এই আটটি দেশের অনুরোধে এ বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় (গ্রিনিচ মান সময় ১৫০০টা) শুরু হবে এ বৈঠক। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে আরো অনেক বিষয় রয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসকে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
বুধবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ ভাষণের মধ্য দিয়ে জেরুজালেম নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতির পরিবর্তন ঘটল।
যদিও একে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ভাষণে মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের মানে এই নয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকার থেকে সরে আসছে। দীর্ঘদিনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের অবসান ঘটাতে আমেরিকা দুই রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত, যদি উভয়পক্ষ সেটাই চায়।’
ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই কেবল জেরুজালেমের বিষয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে পারে। তিনি একতরফা এ ধরনের পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন।
বলিভিয়ার রাষ্ট্রদূত সাচে সার্জিও লরেন্টি সোলিজ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে অপরিণামদর্শী ও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বিরোধী।
এ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ট্রাম্পের এ স্বীকৃতি ‘কেবল শান্তি প্রক্রিয়ার জন্যই হুমকি নয়, এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও চরম হুমকি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সরকার এ ধরনের রণের পদক্ষেপের বিষয়ে ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে।