ঘরে ফিরতে চান আলতাফ
মুখে খোঁচা খোঁচা পাকা দাড়ি। মাথার চুলও সাদা। কারো সঙ্গে তেমন কোনো কথা বলেন না। শরীরের বাম হাত অবশ হয়ে গেছে তাঁর। পাসপোর্ট বা কোনো কাগজপত্রই সঙ্গে নেই। হয়তো অনেক কিছুই ভুলে গেছেন। কথাও বলতে পারেন না। শুধু তাকিয়ে থাকেন শূন্য নয়নে। মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে ১০ মাস ধরে পড়ে রয়েছেন মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন। বয়স ৫০-এর বেশিই হবে।
২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কয়েকজন লোক রাস্তা থেকে কুড়িয়ে আলতাফ হোসেনকে ক্লাংয়ের তোয়াংকো আম্পোয়ান হাসপাতালে রেখে যান। সেখানেই ৭/সি ওয়ার্ডের ৩৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানবিক বিবেচনায় তাঁকে ভর্তি করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলতাফ হোসেনের অভিভাবকের খোঁজ না পেয়ে ৪ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করে। দূতাবাসের কল্যাণ সহকারী মো. মুকসেদ আলী মঙ্গলবার ছুটে যান হাসপাতালে। তিনি আলতাফ হোসেনের খোঁজ-খবর নেন।
হাইকমিশনের এ কর্মকর্তাকে দেখে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। তাঁর কাছে কোনো কাগজপত্র নেই বলে আলতাফ কাগজে লিখে জানান।
দূতাবাসের শ্রম শাখার দ্বিতীয় সচিব মো. ফরিদ আহমদ জানান, আলতাফ হোসেন আসলে বাংলাদেশি নাগরিক কি না যাচাই করা হচ্ছে। নাগরিকত্ব নিশ্চিত সাপেক্ষে বাংলাদেশে পাঠানো যাবে।
দূতাবাসের +৬০১২৪৩১৩১৫০ এই নম্বরে আলতাফের আত্মীয়স্বজনকে ফোন দিতে বলা হয়েছে।