ট্রাম্পের শান্তি আলোচনা শতাব্দীর সেরা চপেটাঘাত : মাহমুদ আব্বাস
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে শান্তি আলোচনা শতাব্দীর সেরা চপেটাঘাত।’
‘যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর তাদের মধ্যস্ততায় আর কোনো ধরনের শান্তি আলোচনা গ্রহণযোগ্য নয়’, যোগ করেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।
গতকাল রোববার রামাল্লায় ট্র্যাম্পের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দুদিনের আলোচনায় বসেছিলেন ফিলিস্তিন কেন্দ্রীয় পরিষদের নেতারা। এ সময় মাহমুদ আব্বাস এসব কথা বলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, শান্তি আলোচনায় না মানলে ফিলিস্তিনের সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। গত মাস থেকে জেরুজালেম ইস্যুতে নতুনভাবে আলোচনার জন্য ফিলিস্তিনকে চাপ প্রয়োগ করেছেন ট্রাম্প। যদিও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারবে না।
সংবাদ মাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, গতকাল রোববার মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনের রাজধানী করার জন্য জেরুজালেমের বাইরে আবু দিজ নামে একটি গ্রামের নাম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি এ সময় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি জেরুজালেমকে আমরা হারিয়ে ফেলি, সেক্ষেত্রে আপনারা কি চান? আপনারা কি আবু দিজকে রাজধানী হিসেবে মেনে নিতে রাজি আছেন?’
এ ছাড়া ইসরায়েল ১৯৯৫ সালের অসলো শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মাহমুদ আব্বাস।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেন, গত মাসে আবু দিজকে ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ রাজধানী করার জন্য প্রস্তাব আসে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য রামাল্লায় আলোচনায় বসার কথাও বলা হয়। তবে আমরা সেখানে অংশ নিতে অস্বীকার করেছি।
গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। জেরুজালেম পবিত্র ভূমি হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় দেশেই গুরুত্বপূর্ণ। এর দখল ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই দেশের দ্বন্দ্ব বহু পুরোনো।
ইসরায়েল সব সময়ই জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। পাশাপাশি পূর্ব জেরুজালেম ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে বলে দেশটির নেতারা বলে আসছেন।
১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৮০ সালে তারা অঞ্চলটি অধিগ্রহণ করে নেয় এবং ইসরায়েলের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে।