নির্বাচনে ‘গাদ্দাফির অর্থ’, সারকোজির ‘জীবন নরকে’
লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অর্থ নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চলছে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির বিরুদ্ধে। এই অর্থ তিনি নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ব্যয় করেন বলেও অভিযোগে উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে সারকোজি বলছেন, এ অভিযোগের কারণে তাঁর জীবন নরকে পরিণত হয়েছে।
আদালতে বিচারকের উদ্দেশে সারকোজি বলেন, ‘কোনো প্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।’
২০০৭ সালের নির্বাচনে লিবিয়ার সরকারি তহবিল আত্মসাৎ এবং পরোক্ষ দুর্নীতির অভিযোগে সারকোজির আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত চলছে।
মধ্য-ডানপন্থী রাজনীতিক সারকোজিকে চলতি সপ্তাহে পুলিশ হেফাজতে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফ্রান্সের সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান বলছেন, ২০১১ সালে লিবিয়ায় গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুদ্ধাবিমান মোতায়েন করায় তিনি প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের দৈনিক পত্রিকা লা ফিগারো সারকোজির পূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করেছে, যেটা তিনি তদন্তকারী দলকে জমা দিয়েছেন।
বক্তব্যে সারকোজি বলেন, তিনি জানেন তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা খুবই গুরুতর। কিন্তু এগুলো তাঁর বিরুদ্ধে অপবাদ এবং তাঁর জীবনকে নরকে পরিণত করেছে।
২০১৩ সালে সারকোজির বিরুদ্ধে গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধভাবে লাখ লাখ ইউরো নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে ফ্রান্স সরকার।
২০১২ সালে সারকোজি ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ হন। হেরে যান সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ।
লিবিয়ার ব্যবসায়ী জিয়াদ তাকিয়েদ্দিন ও গাদ্দাফির আমলের কিছু কর্মকর্তা অর্থ নেওয়ার অভিযোগ করেন সারকোজির বিরুদ্ধে।
২০১৬ সালে তাকিয়েদ্দিন ফরাসি সংবাদপত্র মিডিয়াপার্টকে বলেন, ২০০৬-০৭ সালে তিনি ২০০ ও ৫০০ ইউরোর নোটভর্তি তিনটি স্যুটকেস সারকোজি ও তাঁর এক কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। এই অর্থ গাদ্দাফির, যার পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ ইউরো।
২০১৪ সালে সারকোজিকে নির্বাচনী প্রচারে অবৈধ অর্থ ব্যয়ের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এরকম ঘটনা এই প্রথম।
২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের অবৈধ অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ থেকে এর আগে সারকোজি খালাস পেয়েছিলেন।