আবার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কেজরিওয়াল?
আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল হতে পারেন দিল্লির অষ্টম মুখ্যমন্ত্রী। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী চারটি জরিপের সবগুলো সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যা ৭টায় জরিপগুলো প্রকাশিত হয়। এর সব কটিতেই এএপি বেশি আসন পাবে বলে আভাস দেওয়া হয়।
এসব জরিপে বলা হয়, কেজরিওয়ালের এএপি দিল্লিতে ৩৮টি আসন পেতে পারে। এ আসনই সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট। অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও মিত্র আকালি দল মিলে পাবে ২৮টি আসন। বিপরীতে দিল্লির তিন বারের শাসক দল কংগ্রেস পাবে মাত্র চারটি আসন।
বেলা ৩টা পর্যন্ত দেওয়া ভোটের হিসাব থেকে নিয়েলসন, সি-ভোটার, সিসেরো ও নিউজ ন্যাশন ওই জরিপ করে। সন্ধ্যা ৬টায় ভোট শেষ হয়।
২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর দিল্লির সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সে সময় মাত্র ৪৯ দিন ক্ষমতায় থেকে ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন তিনি। এ সময়ে নাগরিকদের উন্নয়নে কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর আকস্মিক পদত্যাগে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়েছিল।
ওই ঘটনার ১৩ মাসের মধ্যে আবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোট দিল দিল্লিবাসী। আজকের নির্বাচনে এক কোটি ৩০ লাখ ভোটারের ৬৭ শতাংশ ভোট দিয়েছে বলে জানা গেছে। ভোট পড়ার এ হার গত বছরের মে মাসের অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের হারের চেয়ে বেশি। কিছু কেন্দ্রে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন ভোট দিয়েছে।
এবারের নির্বাচনকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এর এক পক্ষে আছেন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারজয়ী সমাজকর্মী কেজরিওয়াল। অন্য প্রান্তে ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসের (আইপিএস) সাবেক কর্মকর্তা, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সাবেক কর্মী, বিজেপির প্রার্থী কিরণ বেদি। এই দুজনের মধ্যে কার কারিশমা ভোটারদের মাত করেছে, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ১০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার পর্যন্ত।