বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ম্যাচ
হেরে গেলেও প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে অনুশীলন খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। দারুণ লড়াই করে পাকিস্তানের কাছে তিন উইকেটে হেরে যাওয়া ম্যাচটি অনুপ্রাণিত মাশরাফি-সাকিবদের করবেই। তবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করার জন্য একটা জয় খুবই প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার সিডনিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ সেই আত্মবিশ্বাস দিতে পারে বাংলাদেশকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে নেমে ৮১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল। সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ৮৩ ও সাকিব আল হাসানের ৩১ রান আশার সঞ্চার করেছে বাংলাদেশ শিবিরে। বল হাতেও খুব একটা খারাপ করেননি মাশরাফি-তাসকিনরা। একসময় জয়ের হাতছানিই ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু শেষ দিকে শহীদ আফ্রিদির ২০ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস জয়বঞ্চিত করেছে বাংলাদেশকে।
পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে সমানে-সমানে লড়াই যে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে সেটা শোনা গেছে তামিমের কণ্ঠেও, ‘পাকিস্তানের মতো একটা দলের বিপক্ষে আমরা একটা সময় জেতার মতো অবস্থানে ছিলাম। বড় দলের বিপক্ষেও যে লড়াই করতে পারি সেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি আমরা। হয়তো ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসেনি। কিন্তু আমরা দারুণ লড়াই করেছি।’
বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডকে হারাতে পারলেই অনেক বেশি উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ডও ভালো। এর আগে ছয়টি ম্যাচ খেলে চারটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। গত বিশ্বকাপে সর্বশেষ লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতেছিল ২৭ রানে।
আইরিশদের হারাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তামিম বলেন, ‘জয় দিয়ে যে কোনো প্রতিযোগিতা শুরু করা সব সময়ই দারুণ ব্যাপার। ব্রিসবেন বা এখানকার (সিডনি) প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা এখনো জয় পাইনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক বিষয় পেতে পারি। ম্যাচটা জিততে পারলে দলের সবাই অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে পারবে। ১৮ ফেব্রুয়ারির ম্যাচের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতও হতে পারব।’
১৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।