মহারাষ্ট্রে ৯৩ কৃষকের আত্মহত্যা
ভারতের মহারাষ্ট্রের শুষ্ক অঞ্চলে গত দেড় মাসে ৯৩ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। পরিবর্তনশীল আবহাওয়া, সরকারি ভর্তুকি দিতে দেরি এবং ঋণের চক্রে বাঁধা পড়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে, গত পয়লা জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের শুষ্ক অঞ্চলের ৯৩ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। গত বছর ওই একই অঞ্চলে ৫৬৯ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২০৭।
বিভাগীয় কমিশনার উমাকান্ত দানগাত বলেন, কৃষকদের আত্মহত্যা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অন্যতম বড় সমস্যা। আশানুরূপ ফসল না হওয়া ও ঋণের চক্রে বাঁধা পড়ার কারণেই এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। মহারাষ্ট্রের অনেক অঞ্চলে শুধু একটি ফসল চাষ করা হয়।
উমাকান্তের মতে, মহারাষ্ট্রের শুষ্ক অঞ্চলে পানি সেচের ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে। একই সঙ্গে উন্নত কৃষিব্যবস্থার সঙ্গে কৃষকদের পরিচিত করে তুলতে হবে। ফসলের সঙ্গে সঙ্গে সবজি চাষ ও খামার বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শুধুমাত্র এসব উদ্যোগ নেওয়া হলেই কৃষকদের আত্মহত্যার হার কমে আসবে।
মহারাষ্ট্রের কৃষক আন্দোলনকারী জয়ার্জিরাও সুরাওয়াসি বলেন, সরকারি সহায়তা দেরির কারণেই অধিকাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ফসলের জন্য ঋণ নেওয়া এবং পরবর্তীকালে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার কারণে আশানুরূপ ফসল না হওয়ার কারণে এই অঞ্চলের কৃষকদের আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা থাকে না।
জয়ার্জিরাও সুরাওয়াসি আরো বলেন, গত দেড় মাসে আত্মহত্যাকারী ৯৩ কৃষকের অনেকের পরিবারই এখনো সরকারি সাহায্য পায়নি।
জেলা কালেক্টর কিশোর রাম বলেন, ২৬টি ক্ষেত্রে কৃষকের পরিবারকে সরকারি সাহায্য দেওয়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আত্মহত্যার ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই এটি তদন্তের জন্য পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
প্রতিটি আত্মহত্যার ঘটনা দুটি স্তরে তদন্ত করা হয়। এই তদন্ত শেষ হতে প্রায় এক মাস সময় লেগে যায়। সরকারি সাহায্য প্রদান দ্রুততর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে তিনি জানান।