ওয়েক্সিং না থ্রেডিং কোনটি বেশি কার্যকর?
শরীরের বিভিন্ন স্থানের লোম দূর করতে সাধারণত ওয়েক্সিং বা থ্রেডিং করা হয়ে থাকে। আইব্রো, আপারলিপ ও হাত পায়ের লোম দূর করতে এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। আবার অনেকে রেজারের মাধ্যমেও এই লোম পরিষ্কার করে থাকেন। যা খুব একটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। শরীরের লোম দূর করার কোন পদ্ধতিটি ত্বকের জন্য ভালো হবে তা অনেকেই হয়তো জানেন না। আর না জেনে করার ফলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি ত্বক কুঁচকে বা ঝুলে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
ফারজানা শাকিল'স মেকওভার সেলুনের কর্ণধার ফারজানা শাকিল বলেন, ''ওয়েক্সিং করানোর আগে অবশ্যই আপনার ত্বক কেমন, লোমের ধরন কেমন এবং লোমের বৃদ্ধি কেমন তা জেনে নিতে হবে। ওয়েক্সিং মোটামুটি সব ত্বকেই করা যায়। কিন্তু থ্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল ত্বকে র্যাশ ওঠার আশঙ্কা থাকে। তাই ত্বক বুঝে যেকোনো একটা পদ্ধতিতে লোম পরিষ্কার করুন। তবে আমি মনে করি হারবাল পদ্ধতিতে ওয়েক্সিং, লোম পরিষ্কারের সবচেয়ে ভালো উপায়।''
থ্রেডিং পদ্ধতি
থ্রেডিং এ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কারণ এতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। তবে এটি বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আবার অনেকসময় কেটে যাওয়ারও ভয় থাকে। আর যাদের ত্বক অনেক সংবেদনশীল তাদের এলার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। থ্রেডিং করার পর খুব তাড়াতাড়ি লোম পুনরায় ফিরে আসে। কারণ থ্রেডিং কোনো দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতি না।
ওয়েক্সিং পদ্ধতি
শরীরের লোম গোড়া থেকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে ওয়েক্সিং। ত্বককে নরম করে। আর যদি হারবাল ওয়েক্সিং করা হয় তাহলে এটাই সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি লোম পরিষ্কার করার। কিন্তু যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের ওয়েক্সিং না করানোটাই ভালো। আর যদি একান্ত করতেই হয় তাহলে অবশ্যই হারবাল পদ্ধতিতে ওয়েক্সিং করাবেন। তা না হলে রাসায়নিক পদার্থের কারণে ত্বকে সমস্যা হতে পারে। অনেকে ওয়েক্সিং করতে ভয় পায়। অথচ পুরোপুরিভাবে শরীরের লোম পরিষ্কার করতে ওয়েক্সিং বেশ কার্যকরি একটি পদ্ধতি।
রেজার পদ্ধতি
যাদের একান্ত বিউটি সেলুনে যাওয়ার সময় থাকে না তারা খুব সহজে রেজার দিয়ে লোম পরিষ্কার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এ পদ্ধতিতে লোম পরিষ্কার হয় ঠিকই কিন্তু পরে ত্বকে অনেক সমস্যা দেখা যায়। ত্বক ফেটে যায় এবং লোমগুলো মোটা হয়ে যায়। কারণ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়। তাই এ ক্ষেত্রে রেজার ব্যবহার না করাই ভালো।
পরামর্শ
১. ওয়েক্সিং করার পর ভালো করে শুকিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন।
২. থ্রেডিংয়ে পর বরফ ঘষে নিন এতে এলার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
৩. অনেকসময় ওয়েক্সিং এর কারণে ত্বকে কালো কালো দাগ পড়তে পারে। তাই ত্বক বুঝে ভালো বিউটি সেলুনে গিয়ে হারবাল ওয়েক্সিং করানোই ভালো। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।
৪. সাধারণত ২১ দিন পর পুরোপুরিভাবে লোম পুনরায় ফিরে আসে। তাই প্রতি মাসেই ওয়েক্সিং বা থ্রেডিং করার চেষ্টা করুন।
৫. লোম পুরোপুরি পুনরায় ফিরে না এলে ওয়েক্সিং খুব একটা কার্যকর হয় না। তাই ঘন ঘন ওয়েক্সিং করার প্রয়োজন নেই। আর অতিরিক্ত ওয়েক্সিং ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও তৈরি করে।