গামা কাদিরের নেতৃত্বে সচল হচ্ছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবচেয়ে পুরোনো সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ডকে আবারো সচল করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রবীণ সংগঠক গামা আব্দুল কাদির। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত শিক্ষার্থীদের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগঠনটি।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অস্ট্রেলিয়াব্যাপী প্রচারণা চালানো এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সহযোগিতা সংগ্রহকারী চার সূর্যসন্তান এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁরা হলেন নজরুল ইসলাম, ড. মোখলেছুর, ড. তৌফিক ও ড. আজিজ। প্রতিষ্ঠানটি আশির দশকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের কমিউনিটি সংগঠন হিসেবে রেজিস্ট্রিও হয়।
প্রাচীন এই সংগঠনটির কথা সবার সামনে তুলে ধরেন প্রাক্তন প্রবীণ সামাজিক নেতারা। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রাণ গামা আব্দুল কাদির আবার হাত দিয়েছেন এই সংগঠনটিকে সচল করতে। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি সমাজের সদস্যরা দলমত নির্বিশেষে হাজির হন স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয়।
অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী ও গবেষক সিরাজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন গামা আব্দুল কাদির। এ সময় তিনি সংগঠনের ইতিহাস তুলে ধরে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান।
গামা কাদির বলেন, এই সংগঠনের প্রথম কাজ হবে আমাদের সিনিয়রদের জন্য নার্সিং হোম, তরুণদের জন্য বাংলাদেশ সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক ও জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো উদযাপন করা।
বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের আগামী দিনের কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক। এ ছাড়া এতে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা ও অস্ট্রেলিয়া বিএনপির উপদেষ্টা মনিরুল হক জর্জ, ড. ওয়াহাব, ফারুক আহমেদ খান, নজরুল ইসলাম, গাউসুল আজম শাহাজাদা, ড. রতন কুন্ডু, লিয়াকত আলী শিকদার প্রমুখ।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ৩০ মার্চ প্রবাসী নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরার জন্য সবার সহযোগিতা চান গামা কাদির। তিনি মনে করেন, আগামী দিনে এই সংগঠন হবে বাংলাদেশিদের একমাত্র প্রাণের সংগঠন।