১০ কারণে আইফোনের চেয়ে অ্যানড্রয়েড সেরা
সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাপলের মুনাফার হার ৩০ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয়েছে সাড়ে সাত কোটি আইফোন। স্মার্টফোনের বাজারে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংকে বেশ পেছনে ফেলে দিয়েছে তারা। কিন্তু তারপরও আইওএস এর চেয়ে অ্যানড্রয়েড অপারেটিংয়ে চালিত স্মার্টফোনকেও এগিয়ে রাখছেন ব্যবহারকারীরা। সেটা কেন? তার ১০টি কারণ জানিয়েছে ক্যারিয়ারবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্যারিয়ার এডিক্টডটকম।
১. আইফোনে আপনি আলাদা স্টোরেজ সুবিধা পাবেন না। কিন্তু বেশির ভাগ স্মার্টফোনেই ইন্টার্নাল মেমোরির পাশপাশি আলাদাভাবে মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
২. অ্যানড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে তা পাল্টে নিতে পারবেন কিন্তু আইফোনের ব্যাটারি পাল্টাতে পারবেন না।
৩. এইচটিসি ওয়ান, এলজি জিথ্রি ও গ্যালাক্সি এস ফাইভের মতো অ্যানড্রয়েড অপারেটিংয়ে চালিত হ্যান্ডসেটগুলোতে ইনফ্রারেড প্রযুক্তি থাকায় হ্যান্ডসেটগুলোকে প্রয়োজনে রিমোট হিসেবে ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন, এই সুযোগ আইফোনে পাবেন না।
৪. অ্যানড্রয়েড ফোনটি আপনি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে ফোন থেকে গান, ছবি ট্রান্সফার করতে পারবেন, কিন্তু আইফোনে সেটা পারবেন না।
৫. অ্যানড্রয়েড ফোনে আপনি যেকোন ফরম্যাটের গান শুনতে পারবেন, কিন্তু আইওস এইট ভার্সনে শুধু আইটিউন্স থেকে নেওয়া গানই শুনতে পারবেন।
৬. যেকোন মাইক্রো ইউএসবি ক্যাবল দিয়ে অ্যানড্রয়েড ফোনে চার্জ দিতে পারবেন কিন্তু আইফোনে চার্জ দিতে হলে দরকার পড়বে অ্যাপল ক্যাবল।
৭. অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটটি আপনি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন, কারণ অ্যানড্রয়েডে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন আপনি, কিন্তু আইপ্যাডে সেটা পারবেন না।
৮. আইফোনে নিরাপত্তার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোনকে সুরক্ষিত রাখা হয়। কিন্তু অ্যানড্রয়েড ফোনগুলোতে আপনি অন্য আরো অপশন পাবেন যেমন, স্লাইড লক, প্যাটার্ন লক।
৯. আইফোনে আপনার সব অ্যাপ্লিকেশনই হোম স্ক্রিনে রাখার বাধ্যবাধকতা থাকে, অ্যানড্রয়েডে সে রকম কিছু নেই।
১০. অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ থেকে নিজেদের সুবিধামতো অ্যাপ খুঁজে নিতে পারেন। যেমন এলজি অ্যানড্রয়েড ফোনগুলোতে আলাদা ইউন্ডোর মাধ্যমে একইসাথে কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন চালানোর সুযোগ আছে। আইফোনে সেই সুবিধা নেই।