আর স্মার্টফোন বানাবে না ব্ল্যাকবেরি
প্রযুক্তি বাজারে বহুদিন ধরেই মন্দা চলছিল ব্ল্যাকবেরির। এমন সময়েই সবাইকে চমকে দিয়ে জানিয়েছে গত কয়েক মাসে প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার মুনাফা করেছে তারা। তবে এই ঘোষণায় ব্ল্যাকবেরি ভক্তরা নড়েচড়ে বসলেও পুরনো সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে না ব্ল্যাকবেরি। স্মার্টফোন বানানো বন্ধ করার ঘোষণাটি আগের মতোই অনড় থাকছে, জানা গেল ম্যাশেবলের খবরে।
স্মার্টফোনের বাজারে একসময় একক রাজত্ব করেছে ব্ল্যাকবেরি। কিন্তু সে কথা এখন কেবলই অতীত। খটমটে অপারেটিং সিস্টেমের কারণে একের পর এক ব্যর্থ অর্থবছর কাটিয়েছে এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। একসময় আইওএস আর উইন্ডোজের সাথে সামান্য পাল্লা দিতে পারলেও অ্যান্ড্রয়েড-বিপ্লবে একদমই ধসে গেছে ব্ল্যাকবেরির স্মার্টফোন বাজার। এজন্যই একপর্যায়ে স্মার্টফোন বানানোর সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। এমন অবস্থায় মুনাফা প্রাপ্তির ঘোষণা বেশ বিস্ময়করই বটে! এই ঘোষণায় গত শুক্রবার সকাল সকাল ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজারে ব্ল্যাকবেরির শেয়ারের দাম বেড়ে যায় ৩ শতাংশ।
তবে এই মুনাফাটিকে বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিবাচক মনে করতে পারছেন না বিশ্লেষকরা। সর্বশেষ অর্থবছরের শেষভাগে প্রতিষ্ঠানটির আয় হয় ৬৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে তাদের লক্ষ্য ছিল ৭৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুতরাং, প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রার আয় করতে আবারও আগের মতোই ব্যর্থ একসময়ের এই দাপুটে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
ব্ল্যাকবেরির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন চেন এক বিবৃতিতে তাঁদের এই পরিস্থিতি সম্বন্ধে স্পষ্টভাবেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। এই মুনাফার বিষয়টি আশাব্যঞ্জক দেখালেও মোট বিক্রির অঙ্কে হতাশ তিনি। এতে করে ব্ল্যাকবেরি যে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে, তা স্পষ্টই বোঝা যায়। এ কারণেই মুনাফা হলেও নতুন করে আর স্মার্টফোন বানাতে চাচ্ছেন না তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে বলা যায়, সর্বশেষ অর্থবছরের শেষাংশে ব্ল্যাকবেরির স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার, যেখানে আইফোন বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত কোটি! এ অবস্থায় ব্ল্যাকবেরির যে স্মার্টফোন বাজারে তেমন কোনো আশা নেই, তা তো বলাই যায়।