ওমর আলবশির কারাগারে, রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে আগ্রহী উগান্ডা
সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আলবশিরকে রাজধানী খার্তুমের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা হারানোর পর প্রেসিডেন্টের বাসভবনে কড়া পাহাড়ায় আটক ছিলেন তিনি। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। বশিরের পরিবার ও কারাসূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ উগান্ডা জানিয়েছে, তারা ওমর আলবশিরকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে আগ্রহী। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। প্রায় একযুগ আগে দারফুরে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারী তিন লাখ মানুষকে হত্যার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত।
বুধবার কাম্পালায় উগান্ডার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ওকেল্লো ওরিয়েম রয়টার্সকে বলেন, ‘সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আলবশির রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে তা বিবেচনা করা হবে। উগান্ডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পরোয়ানা কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
এর আগে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি আন্তর্জাতিক এই আদালতকে ‘আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের হাতিয়ার’ হিসেবে উল্লেখ করেন। মুসেভেনি একবার আফ্রিকার দেশগুলোকে আইসিসির প্রতিষ্ঠাচুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালান।
৬ এপ্রিল থেকে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভের পাঁচদিনের মাথায় ১১ এপ্রিল ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ওমর আলবশিরের ক্ষমতাচ্যুতির পরও বিক্ষোভ চলছে।
গত বৃহস্পতিবার ওমর আলবশিরের অপসারণের ঘোষণা দেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আওয়াদ ইবনে আউফ। অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে নিজে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন এই সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রেসিডেন্টের অপসারণের পরও বিক্ষোভ চলতে থাকলে সেনা কর্মকর্তা আউফও পরিস্থিতি সামাল দিতে একদিন ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগ করেন।
বর্তমানে ওই সামরিক কাউন্সিলের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান দুই বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেবেন বলে ঘোষণা দেন।