আল শাবাবের হামলায় কেনিয়ায় নিহত ১৪৭
কেনিয়ার গারিসা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আল শাবাব বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ১৪৭ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
রয়টার্স-এর খবরে বলা হয়, ১৯৯৮ সালে কেনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে প্রাণঘাতী হামলা হয়। এর পর সর্বশেষ হামলাটিই সবচেয়ে ন্যক্কারজনক।
বৃহস্পতিবার ভোর হওয়ার আগেই আল শাবাব বন্দুকধারীরা গুলি করতে করতে ওই কলেজ ক্যাম্পাসের দখল নেয়। সেখানে মুসলমান শিক্ষার্থীদের নিষ্কৃতি দিয়ে খ্রিস্টানদের জিম্মি করে রাখে। ১৫ ঘণ্টা পর তাদের এই জিম্মি নাটকের অবসান ঘটে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ এনকায়সেরি বলেন, ওই হামলায় চারজন জড়িত। ২০১৩ সালে নাইরোবিতে শপিংমলে হামলায় ৬৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায়ও চারজনই জড়িত ছিলেন।
এনকায়সেরি আরো বলেন, ‘অভিযান সফল হয়েছে। চার সন্ত্রাসীই নিহত হয়েছে।’
কেনিয়ার পুলিশপ্রধান জোসেফ বোয়নেট বলেন, হামলাকারীরা ক্যাম্পাস চত্বরে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে।
কেনিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, হামলার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাস এলাকা ঘিরে রাখে। তাদের সঙ্গে হামলাকারীদের গোলাগুলি চলতে থাকে দিনভর। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৭৯ জন আহত হয়। এদের অনেককে বিমানে করে নাইরোবিতে নেওয়া হয়েছে।
গারিসা শহরটি আল শাবারের ঘাঁটি সোমালিয়া থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে। ২০১৩ সালে নাইরোবির শপিংমলে হামলাকারী আল শাবারের একটি ইউনিট এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সোমালিয়ায় সেনা পাঠানোয় কেনিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল আল শাবাবের। এর জবাবে তারা কেনিয়ায় বেশ কয়েকবার হামলাও চালিয়েছে।