জাবিতে ১৮ জন বীরাঙ্গনাকে সংবর্ধনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৮ জন বীরাঙ্গনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সেমিনার কক্ষে আজ সোমবার বেলা ১১টায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বীরাঙ্গনা-অনুসন্ধান ও পুনর্বাসন প্রয়াস’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ জেলার ১৮ জন বীরাঙ্গনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জাবির ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বিভিন্ন সময়ে ‘বীরাঙ্গনা’ শব্দটির অপব্যাখ্যা করে বীরাঙ্গনাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের অবদান অতুলনীয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের অবদানের জন্য তাঁরা আজ বীরমাতা।
উপাচার্য আরো বলেন, ‘বর্তমানে নবীন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে জানার আগ্রহ রয়েছে। আমি আশা করি ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা বীরাঙ্গনাদের অনুসন্ধান করে মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের ভূমিকার কথা জাতির সামনে তুলে ধরবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও ‘সামাজিক সহায়তা উদ্যোগের’ পরিচালক আবু মো. দেলোয়ার বলেন, ‘বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি, ভাতা ও সম্মান প্রদান সময়ের দাবি। আশা করি সরকার দ্রুতই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক আরিফা সুলতানা। এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক মোজাহিদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মীর ফেরদৌস হোসেন, বীরাঙ্গনা আছিয়া বেগম প্রমুখ।