সাবেক সাংসদ হ্যাপি বড়ালের মেয়েকে ফের ছুরিকাঘাত
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়ালের মেয়ে ও পিরোজপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রামানন্দ পালের স্ত্রী অদিতি বড়ালকে (২৭) বাসায় ঢুকে আবারও ছুরিকাঘাত করেছে এক দুর্বৃত্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সরকারি বাসভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মোট চারবার হামলার শিকার হলেন অদিতি।
অদিতির বাবা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কালীদাস বড়াল বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় ২০০০ সালে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন।
গতকাল দুপুরে হামলাকারী অদিতির পেটের বাম পাশে আঘাত করে। তাঁর ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানান অদিতির স্বামী রামানন্দ। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাঁকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় নেওয়া হয়েছে।
রামানন্দ পালের বাসভবনের পাশে জেলা প্রশাসক, জেলা জজ কোর্ট ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় থাকায় এ ঘটনাটি পিরোজপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
অদিতির স্বামী রামানন্দ পাল জানান, গতকাল দুপুরে অফিসের পিওন কামাল পরিচয় দিয়ে দরজায় কড়া নাড়েন এক যুবক। এরপর দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অদিতিকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। এ সময় অদিতির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে রামানন্দকে ফোন করেন। পরে তিনি গিয়ে অদিতিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার পরই অদিতিকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা প্রাশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন ও পুলিশ সুপার (এসপি) হায়াতুল ইসলাম খান।
অদিতি বড়ালের ওপর এ হামলার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এসপি হায়াতুল ইসলাম খান।
গত বছর ৮ নভেম্বরেও একই বাসায় ঢুকে অদিতি বড়ালের পেটে ছুরিকাঘাত করেছিল এক দুর্বৃত্ত। ওই সময় আহত হয়েছিলেন অদিতির বাসার গৃহকর্মী বন্যা আক্তারও। ওই সময় এক যুবক একই কায়দায় নিজেকে রামানন্দ পালের অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে অদিতির পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাগেরহাট সদরের আমলাপাড়া স্কুলের গেটের সামনে অদিতি বড়ালের পেটে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বরগুনাতেও একইভাবে হামলার শিকার হয়েছিলেন অদিতি।