দেশের শতকরা প্রায় ১২ ভাগ পুরুষ মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত
দেশে শতকরা প্রায় ১২ ভাগ পুরুষ এবং শতকরা ৫ দশমিক পাঁচ ভাগ নারী মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত। ক্যানসারের ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ওরাল ক্যানসার’ সচেতনতাবিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ক্যানসার সচেতনতা সপ্তাহের পঞ্চম দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির আয়োজন করেছে সেন্টার ফর ক্যানসার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ (সিসিপিআর), ফেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন ফর মাল্টি সেক্টরাল এনরিচমেন্ট (ফেইম), জাতীয় ক্যানসার গবেষণা প্রতিষ্ঠান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরী ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ, ঊর্মি ডেন্টাল সার্জারি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেছেন, মুখের ক্যানসারের (ওরাল ক্যানসার) পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতন হলেই ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে শতকরা ১১.৭ ভাগ পুরুষ এবং ৫.৫ ভাগ নারী ঠোঁটসহ ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত। এই রোগে মৃত্যুর হার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ৬.৬ ভাগ। সচেতন হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ধূমপান বা তামাকের ব্যবহার এই রোগের প্রধান কারণ। ঝুঁকিপূর্ণ এসব উপাদান এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ডা. কামরুল আহসান সুজা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি ও তরীর প্রধান উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক বশির আহমেদ এবং পাবলিক হেলথ্ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেইম-এর সভাপতি মনিরুজ্জামান।
সেমিনার শেষে ফ্রি ডেন্টাল চেক-আপ করা হয়। ফ্রি ডেন্টাল চেক-আপের নেতৃত্ব দেন ফেইমের সাধারণ সম্পাদক ডা. নাজমুন নাহার।