কমদামের স্মার্টফোন কেনার আগে
স্মার্টফোন ছাড়া এ যুগে চলে নাকি? শখ তো সবারই হয় অত্যাধুনিক সব ফিচারে ভরপুর একটি স্মার্টফোন কিনতে, কিন্তু সাধ্যে কুলায় না। সে জন্য আছে বাজেট বা সাশ্রয়ী স্মার্টফোন। কমদামের স্মার্টফোন কেনার আগে কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখা জরুরি। টাইমস অব ইন্ডিয়া পরামর্শ দিয়েছে সে বিষয়ে পাঁচটি পরামর্শ।
১. দামি স্মার্টফোনের সাথে মেলাবেন না
মনে রাখতে হবে, আপনি যে স্মার্টফোন কিনছেন তার দামটি কম। সুতরাং অত্যাধুনিক স্মার্টফোনে কী কী আছে, তার সাথে একে মেলাতে যাবেন না শুধু শুধু। ক্যামেরার ক্ষমতা, স্ক্রিনের ধরন বা স্টোরেজ না দেখে বরং র্যাম, ব্যাটারি এবং বডি দেখে ফোন কিনুন।
২. খতিয়ে দেখুন
কমদামে স্মার্টফোন প্রস্তুত করার জন্য নির্মাতারা কিছু সূক্ষ্ম কারচুপি করেন অনেক সময়। সুতরাং, যে ফিচারগুলোর কথা বলা রয়েছে সেগুলো বারবার মিলিয়ে নিন। ইন্টারনাল স্টোরেজ ৪ জিবি হলে আসলেই ৪ জিবি কিনা, স্ক্রিন সাইজটা মিলছে কি না বা ওয়াই-ফাইয়ের কথা বলে কেবল ব্লু-টুথের আধুনিক ভার্সন রয়েছে কি না তা মিলিয়ে নিন কেনার আগে।
৩. হার্ডওয়্যারে মনোযোগ দিন
এ ক্ষেত্রে ‘পরে দর্শনধারী, আগে গুণবিচারী’ তত্ত্ব অনুসরণ করুন। স্মার্টফোনটির চেহারা নয়, বরং এর র্যাম, প্রসেসরের ধরন কিংবা ব্যাটারির দিকে লক্ষ রাখুন।
৪. অপারেটিং সিস্টেম
হুজুগের তোড়ে কোনো স্মার্টফোন না কিনে একবার অপারেটিং সিস্টেমের দিকে মনোযোগ দিন। যে অপারেটিং সিস্টেমের ফোন কিনছেন, তার অ্যাপ্লিকেশন সহজলভ্য কি না, আপনি সেটি ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য কি না- সে ব্যাপারে ভাবুন। আর হ্যাঁ, ভার্সন বা সংস্করণের ব্যাপারটা অবশ্যই খেয়াল রাখুন।
৫. বিক্রয়োত্তর সেবা
এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা সব ফোনেই রয়েছে। কিন্তু যদি আশপাশে আপনার ফোনটির জন্য নির্দিষ্ট কোনো সার্ভিসিং বা কাস্টমার কেয়ার আউটলেট না থাকে, তবে সেটির তো কোনো সুফল আপনি পাচ্ছেন না। কাজেই এমন ফোন কিনুন যার সমস্যা হলে আপনি নির্দিষ্ট আউটলেট থেকে সহজেই বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন।