‘পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল’
‘১৬ এপ্রিল রাতে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী সশস্ত্র অবস্থায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এ সময় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবিনিময় ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাদের সামনে সংঘর্ষে দুই ছাত্র নিহত ও ৩০ ছাত্র আহত হয়।’
আজ সোমবার সকালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. বলরাম রায়।
বলরাম রায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম যথারীতি চালু আছে। স্বাভাবিক পরিবেশে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছে।’
‘পুলিশ সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে নিহতের ঘটনা নাও ঘটতে পারত। হল দখল, নিয়োগ-বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজির ঘটনার সূত্র ধরে এই দুই ছাত্র প্রাণ হারায়।’
বলরাম রায় আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রক্টর এস এম শফিকুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলাটি নথিভুক্ত করেনি।’
ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনিস খান প্রমুখ।
মামলা না নেওয়া প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেকুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘মামলাটি একপেশে। মামলায় কিছু সংশোধন করে আনতে বললে তারা সংশোধন করে আনেনি। তদন্তসাপেক্ষে মামলা নথিভুক্ত করা হবে।’