মাদ্রাসাশিক্ষকের হাত-পা কেটে নিল সন্ত্রাসীরা
বরগুনার আমতলী উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের হাত-পা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার গাজীপুরা সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলামকে (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শহীদুল উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার রায়। তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই এলাকার ইয়াকুব, সাইদুল, মজিবর, মাহাতাব ও কাওছার নামে পাঁচ যুবককে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান ওসি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষক শহীদুলের সাথে একই এলাকার সাইদুল, ইয়াকুবের লোকজনদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। সকালে গাজীপুরা মাদ্রাসা থেকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে করে শহীদুল মামলার কাজে আমতলী উপজেলায় যাচ্ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে বাঁশতলা এলাকায় দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে শহীদুলের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় দুর্বৃত্তরা শহীদুলকে রাস্তায় ফেলে রামদা দিয়ে কুপিয়ে বাম হাত ও বাম পা কেটে ফেলে। ঘটনার সময় স্থানীয়রা শহীদুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেও সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমতলী-পটুয়াখালী সড়কের উরশিতলা এলাকা থেকে ধাওয়া করে স্থানীয়দের সহায়তায় ইয়াকুব, সাইদ ও মজিবরকে আটক করে। এ ছাড়া পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরিঘাট এলাকা থেকে পুলিশ মাহাতাব ও কাওছারকে আটক করে।