শেষ ইচ্ছানুযায়ী মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত রবার্ট মুগাবে
মৃত্যুর তিন সপ্তাহ পর অবশেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। রাজধানী হারারের ৯০ কিলোমিটার পূর্বে নিজ জন্মস্থল কুটামার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে।
সাঁইত্রিশ বছর দেশ শাসন পর এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন মুগাবে। এর দুই বছর পর গত ৬ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ৯৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় রবার্ট মুগাবের।
এর পর থেকেই রাজধানী হারারের হিরোজ একর সমাধিস্থল নাকি রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে জাভিম্বায় মুগাবের গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হবে, এ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিল সরকার ও মুগাবের পরিবার। অবশেষে পারিবারিক আয়োজনে গ্রামের বাড়িতেই গতকাল শনিবার দাফন করা হয় মুগাবের লাশ। গণমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে দাফনের আগের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন মুগাবের কয়েকশ শুভানুধ্যায়ী। তবে জিম্বাবুয়ে সরকারের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে সেখানে দেখা যায়নি। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হারারেতে মুগাবের সম্মানে রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, মুগাবের লাশ এত দিন রাজধানী হারারেতেই ছিল। যদিও এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
পরিবারের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছিলেন, মুগাবের ইচ্ছা ছিল, লাশ দাফন না হওয়া পর্যন্ত যেন তাঁর স্ত্রী লাশ ছেড়ে না যান। তবে মুগাবে কেন এমন ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়।
পরিবারের দাবি, মুগাবের আরো একটি ইচ্ছা ছিল যে তাঁর মা বোনা মুগাবের পাশে যেন তাঁকে দাফন করা হয়। সে অনুযায়ীই মুগাবেকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।