বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (রিজার্ভ) ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। রিজার্ভের এ পরিমাণ স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (গভর্নর সচিবালয়) এ এফ এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়া, আমদানি ব্যয় কমা এবং রপ্তানি আয় বাড়ায় রিজার্ভ এ অবস্থায় এসেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে এটি সর্বোচ্চ রেকর্ড।’
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় বলে জানান আসাদুজ্জামান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবরণীতে দেখা যায়, ২৫ মার্চ পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়ায় দুই হাজার ২৮১ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এটি ছিল দুই হাজার ৩০৩ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার।
২০১৪ সালের ২৪ মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল এক হাজার ৯১৬ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। গত বছরের ৩০ জুন এ মজুদ দাঁড়ায় দুই হাজার ১৫৫ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে আন্তব্যাংক ডলারের বিপরীতে টাকার দাম গত বছরের ২৪ মার্চ ছিল ৭৭ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩০ জুন এটি ছিল ৭৭ টাকা ৬৩ পয়সা। তবে চলতি বছরের ২৬ মার্চ ডলারের বিপরীতে টাকার দাম দাঁড়ায় ৭৭ টাকা ৮০ পয়সা।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স-প্রবাহে গতি থাকায় এবং ডলারের দাম বাড়ায় ফেব্রুয়ারিতে আগের মাসের চেয়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়ে। কিন্তু ওই সময় রপ্তানি ভালো থাকলেও আমদানির পরিমাণ কমে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানির উৎসাহ হারায়।
গত বছরের ৭ আগস্ট বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়ায়। এরপর গত ৫ নভেম্বর রিজার্ভ পৌঁছায় দুই হাজার ২৩৬ কোটি মার্কিন ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স আসে ১২৪ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ১১৮ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার। মার্চে ৯৩ কোটি ১০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন বাড়ায় আমদানি চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির ফলে চলতি মাসে রিজার্ভ বেড়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।