মাথা লাগিয়ে দিলেন চিকিৎসক
ভয়ংকর এক গাড়ি দুর্ঘটনায় ধড় থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল মাথাটা। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হৃদস্পন্দনও। এরপরও চিকিৎসকের দক্ষতায় প্রাণে বাঁচলেন এক ব্রিটিশ যুবক।
ঘটনাটি ঘটে গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসেলে। ওই এলাকারই বাসিন্দা টনি কাওয়ানের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা দেয় রাস্তার পাশের একটি টেলিফোন পোলে। দুমড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, ততক্ষণে টনির হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ড্যাশবোর্ডের সাথে মাথার সংঘর্ষে মাথার সাথে সংযোগকারী ঘাড়ের হাড় এবং মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। তবে মস্তিষ্ক মেরুদণ্ড থেকে আলগা হয়ে খুলে এলেও তা কাজ করা বন্ধ করেনি। কারণ পেশি এবং কয়েকটি কলার সাহায্যে সেটি কোনোমতে আটকে ছিল। দেহে প্রাণ থাকলেও চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন টনির সুস্থ হওয়া প্রায় অসম্ভব। তিনি হয়তো প্রাণে বেঁচে যাবেন, তবে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন না কোনোদিন।
সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন নিউক্যাসেল সিটি হাসপাতালের ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিউরো সার্জন অনন্ত কামাত। ক্ষতিগ্রস্ত কলা এবং হাড় সারিয়ে মাথার সাথে মেরুদণ্ডের সংযোগ স্থাপন করেন তিনি। টিস্যু ও পেশির সাহায্যে প্লেট বসিয়ে ধড় ও মাথা জোড়া লাগান তিনি। ৪ মে করা জটিল ওই অপারেশনের পর বর্তমানে টনির অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা আশা করছেন আর কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরতে পারবেন তিনি।