লেনদেন ১০ লাখের বেশি হলেই তথ্য পাঠাতে হবে
এখন থেকে একটি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করলেই সেই তথ্য সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ-সংক্রান্ত নির্দেশনাটি জারি করে।
‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের’ সুবিধার্থে প্রতি মাসেই এ ধরনের প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দেশনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কোনো ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন পায়, তাহলে উল্লেখ করেই বিএফআইইউর কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার দৈনন্দিন লেনদেন পর্যালোচনা করে একটি হিসাবে একটি নির্দিষ্ট দিনে এক বা একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে জমা বা উত্তোলনের (অনলাইনসহ যে কোনো ধরনের নগদ জমা বা উত্তোলন) পরিমাণ যদি ১০ লাখ টাকা বা তদূর্ধ্ব অর্থের হয় তবে স্ব স্ব কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বরাবরে নগদ লেনদেন রিপোর্ট (Cash Transaction Report-CTR) হিসেবে দাখিল করবে। এ ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন বলতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হিসাবের অনুকূলে তাদের গ্রাহক বা তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত নগদ লেনদেনকে বোঝাবে।’
আগামী ১ জুন থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর বলে গণ্য হবে বলে বিএফআইইউর নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেই হিসেবে জুন মাসে সম্পাদিত নগদ লেনদেনের প্রথম প্রতিবেদন জুলাই মাসের নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বিএফআইইউতে দাখিল করতে হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।