শিশুদের ডিকশনারিতে ‘হ্যাশট্যাগ’
ভার্চুয়াল জগৎজুড়ে ‘সেলফি’ শব্দটির জয়জয়কারের কাছে হার মেনে ২০১৩ সালে অক্সফোর্ড ডিকশনারি এই শব্দটিকে ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। এই ঘটনা প্রযুক্তি আর সোশ্যাল নেটওয়ার্কপ্রেমীদের অবশ্যই মনে আছে। এবার অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস ‘চিলড্রেনস ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করল ভার্চুয়াল জগতের আর এক শক্তিশালী শব্দ ‘হ্যাশট্যাগ’কে।
প্রথমে টুইটারে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের প্রচলন শুরু হলেও পরবর্তীকালে এটি জায়গা করে নেয় জাকারবার্গের ফেসবুকে। এই যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাই কোনো কিছুকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে এবং সবার আকর্ষণ কাড়তে হরহামেশাই মানুষজন ব্যবহার করছে এই ‘#’ হ্যাশট্যাগ।
তবে এই স্বীকৃতি মেলেনি ভার্চুয়াল জগৎ থেকে। বিবিসির ‘৫০০ ওয়ার্ডস’ প্রতিযোগিতার জন্য জমা হওয়া এক লাখ ২০ হাজার চারশো ২১টি ছোট গল্প গবেষণা করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস এই সিদ্ধান্তে এসেছে।
শিশুদের কাছে প্রিয় এই ‘#’ চিহ্ন তারা ব্যবহার করছে এখন সব জায়গায়। এটি শিশুদের অভিধানে প্রবেশ করছে ভিন্নভাবে। গবেষকরা বলছেন, পাঁচ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা এই হ্যাশট্যাগকে ব্যবহার করছে বাক্যে একটি উপসর্গ হিসেবে কিংবা কোনো একটি শব্দকে একটু বেশি আকর্ষণীয় করতে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের ভিনিতা গুপ্তা বলেন, “শিশুরা টুইটারে টুইট করছে না কিন্তু তারা তাদের লেখায় নাটকীয়তা রাখার জন্য ‘#’ চিহ্ন ব্যবহার করছে, যা অবশ্যই একটি চিন্তার বিষয়।”
তারা আরো গবেষণা করে দেখেছেন, শিশুদের জীবনে প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব বেড়েই চলেছে দিনে দিনে। এবং সময়ের সাথে সাথে শিশুরাও নতুন নতুন প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের অংশ হয়ে যাচ্ছে। ই-মেইল, মোবাইল কিংবা ফেসবুকের বদলে তাদের কাছে প্রিয় শব্দ এখন ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ইমোজি।