‘খুন করে বলছে, জিনে-ভূতে মারছে’
হবিগঞ্জ শহরতলির ধূলিয়াখাল এলাকায় সুরমা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরমার ভাই অভিযোগ করেছেন, পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর বোনকে খুন করা হয়েছে। আর নিহতের শাশুড়ির দাবি, জিনে-ভূতে সুরমাকে মেরে ফেলেছে।
রোববার সন্ধ্যার এ ঘটনায় গৃহবধূ সুরমার স্বামী বাসচালক মুছাব্বির (৪০) ও দেবর পরিবহন শ্রমিক মাসুক মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার কাটাখালি গদাইনগর গ্রামের মৃত কিতার আলীর মেয়ে সুরমা আক্তারকে ধূলিয়াখাল গ্রামের মুছাব্বির বিয়ে করেন। তাঁদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
বিকেলে গৃহবধূ সুরমা পিঠা বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি পাশের বাড়ি থেকে চাল গুঁড়া করার জন্য ‘ছিয়া ঘাইল’ আনতে যান। এর পর থেকে সুরমাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর লাশ বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে দেখতে পায় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সুরমার ভাই এখলাস মিয়া এনটিভি অনলাইনের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর বোনকে স্বামী ও দেবর খুন করেছে। এখন সুরমার শাশুড়ি বলছে, জিন-ভূতে মেরে ফেলেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সুরমার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক মুছাব্বির ও তাঁর ভাই মাসুককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল রোববার আদালতের পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।