অস্ত্র আইনে ১০ ‘বনদস্যুর’ যাবজ্জীবন সাজা
অস্ত্র আইনে সুন্দরবনের সংঘবদ্ধ দস্যু দলের ১০ সদস্যকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন বাগেরহাটের একটি আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার পিসি ডেমা গ্রামের ওমর ফারুক ওরফে মাস্টার, রামপাল উপজেলার কালিকা প্রসাদ নগরের আলী, একই এলাকার ওলি, শৈলাতখালি এলাকার বড় দুর্গাপুর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ সন্নাসী গ্রামের রফিক, খুলনা জেলার টিভি ক্রসরোড এলাকার মো. কামরুল ইসলাম, বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোট আমখোলা এলাকার মো. মতি শিকদার ওরফে মতি ওরফে মাইন, পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামের রিপন মুক্তার, চরদুয়ানি গ্রামের আব্দুল বারেক মুক্তার, তালতলী উপজেলার নিদ্রাচর এলাকার আব্দুল রসিদ আকন ওরফে কালা মাঝি।
রায় ঘোষণার সময় ওমর ফারুক, মো. মতি শিকদার ও আব্দুল রসিদ আকন ছাড়া সবাই পলাতক ছিলেন। পুলিশ তাদের বনদস্যু জিহাদ বাহিনীর সদস্য বলে দাবি করেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ আলী মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০০৯ সালে ২৮ জানুয়ারি ভোরে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের বলেশ্বর নদের পশ্চিমপার থেকে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দস্যু দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এ ঘটনায় ডিবির তৎকালীন উপপরিদশক (এসআই) শেখ আবু বক্কর বাদী হয়ে ওই দিন বিকেলে বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী ডিবির তৎকালীন এসআই মো. ইমান উদ্দিন ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।