পাবনায় আ. লীগ নেতাসহ চারজন জেলহাজতে
পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কোরবান আলীসহ চারজনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও তাঁর দুই ছেলেকে পিটানোর অভিযোগে করা মামলায় আজ রোববার দুপুরে পাবনার আমলি আদালত ৪-এর বিচারক শিপন কুমার মোদক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকালে পাবনার আতাইকুলা হাটের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কোরবান আলী ও তাঁর লোকজন একই দলের প্রতিপক্ষ আলহাজ আবদুল কুদ্দুস ওরফে বাতেন মাস্টারের সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়। কোরবান বাতেনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা করেন। গুলি বের না হওয়ায় বাতেন প্রাণে বেঁচে যান। এ সময় কোরবানের সমর্থকরা বাতেনের দুই ছেলে মানিক ও হীরনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই বাতেন আওয়ামী লীগ নেতা কোরবানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অস্ত্র আইনে এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে আতাইকুলা থানায় মামলা করেন। বাতেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের স্ত্রীর মামাতো ভাই।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম জানান, গত শুক্রবার রাতে কোরবান আলী চেয়ারম্যান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা থানার মধ্যে ঢুকে থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) সামনে বাতেন মাস্টারকে হত্যার হুমকি দেন। ওই রাতেই কোরবানের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এই জিডি করার পর কোরবান আলী চরম ক্ষেপে যান এবং শনিবার সকাল ১০টায় প্রকাশ্যে থানা থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মামাতো শ্যালক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কুদ্দুস ওরফে বাতেন মাস্টারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি আমানত হোসেন (২৭) ও মো. বিপু (৩০) নামের দুই আওয়ামী লীগ সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে ওই মামলায় জামিন নিতে আজ রোববার দুপুরে কোরবান আলী ও জাহাঙ্গীর আলম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক ওই দুজনসহ চার আসামির জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।