দেশি সামাজিক যোগাযোগের সাইট বিজয়বুক
অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ বলতেই আমরা বুঝি ফেসবুক, টুইটার। দুটি প্রতিষ্ঠানই বিদেশি। আমাদের দেশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সংখ্যা কম হলেও এ নিয়ে কাজ চলছে। তেমনই একটি দেশীয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ‘বিজয়বুক’। নতুন এই বাংলা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের উদ্যোক্তা বিজয় দত্ত।
এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলোচনায় তিনি জানান বিজয়বুকের বিস্তারিত। নিজের আগ্রহ থেকেই তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সাইট নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। নিজের সাইট তৈরির আগে দেখে নেন বাংলাদেশের অন্যান্য সাইটের অবস্থা।
সাত-আট মাস ধরে বিভিন্ন সাইট দেখে সিদ্ধান্ত নেন, বাংলাদেশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট তৈরির। সে ভাবনা থেকেই এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেন বিজয়বুকের। গত ৪ মে সাইটটি ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন—জানতে চাইলে বিজয় বলেন, ‘মাত্র দুই মাসে ৬০ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বিজয়বুকে। সব সময়েই অনলাইনে ১৫ থেকে ২০ জন ব্যবহারকারী অ্যাকটিভ রয়েছেন এবং দিন দিন এর সংখ্যা বাড়ছে।’
ফেসবুক, টুইটার থাকার পরও কেন বিজয়বুক? এমন প্রশ্নের জবাবে বিজয় বলেন, ‘এখানে পোস্ট দিলে পোস্টগুলো পিন আকারে দেখা যাবে। হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্টগুলো আলাদা করা যাবে। নিজের পোস্টকে ব্যবহারকারীরা প্রমোট করতে পারবেন। ফেসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট—তিনটা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সুবিধাই এখানে একসঙ্গে পাবেন ব্যবহারকারীরা। তবে এখানে কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো যাবে না, শুধু ফলো করা যাবে। অর্থাৎ ফলো করা থাকলে একজন ব্যবহারকারী অন্যদের পোস্টগুলো দেখতে পারবেন। সে সঙ্গে ভিডিও এবং ছবি শেয়ার করা যাবে।’
বিজয়বুক সাইটটি প্রতিনিয়ত আপগ্রেডেশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজয়। ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য টুইটার ও ইয়াহু অ্যাকাউন্ট দিয়েও ব্যবহার করা যাবে বিজয়বুক। ফেসবুক দিয়েও যেন বিজয়বুক ব্যবহার করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ চলছে। সে সঙ্গে গুগল সার্চ যোগ করারও কাজ চলছে।
বিজয় বলেন, ‘বিজয়বুকের হোমপেজটাকে আরেকটু আলাদা করার চেষ্টা করছি। প্রতিদিন নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত হচ্ছেন সাইটটিতে, তাঁদের সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিজয় বলেন, ‘বাংলাদেশের সাইটগুলোর জন্য অ্যাড নেটওয়ার্ক তৈরির ইচ্ছা আছে। সেটা নিয়ে কাজ করছি। এ ছাড়া বাংলায় প্রযুক্তি কনটেন্ট দেওয়ার জন্য তৈরি করেছি টেকলাইভবিডি ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট, যাতে পাঠক-লেখক তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারেন।’